রাজশাহীর বাজারে পেঁয়াজ ২৫০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে পেয়াজের দর। মজুতদারদের স্বেচ্ছাচারীতায় পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাত পোহালেই পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা।  বর্তমানে রাজশাহীতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৫০ টাকা দরে।

পেঁয়াজের এই লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে ইচ্ছে মাফিক দাম হাকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা বলে জানান সাধারন ক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে বেশি দরেই বিক্রি করা লাগছে।

শনিবার সকালে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ২১০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।যেসব ব্যবসায়ী ৪০ টাকা কেজি থাকতে পেঁয়াজ মজুদ করেছেন, তাদের প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা করে লাভ হচ্ছে। যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

মজুতদারদের এই অসাধু উপায় অবলম্বন করায় ভুগতে হচ্ছে সর্বশ্রেণীর মানুষকে। নগরীর শালবাগান এলাকার ক্রেতা আসমা বেগম বলেন, কাল যে দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনলাম আজ সে দাম আর নেই। আজ কেজিতে ২০ টাকা বেশি। এভাবে চলতে থাকলে ফলের দোকানে পেঁয়াজ কিনতে যেতে হবে।

উপশহর এলাকার শিক্ষার্থী সজল আহম্মেদ বলেন, পেঁয়াজকে জাতীয় মসলা ঘোষণা করা উচিত। বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গেলে মনে হচ্ছে হালি আকারে বিক্রি করা হচ্ছে। ডিম ভাজতে গেলেও ভয় পাচ্ছে এখন।

শাহী শহর ছাড়াও বিভাগের সব জেলাতেও একই চিত্র উঠে এসেছে। জেলা শহরের বাজারগুলোতে সবধরণের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার উপরে।

দেশজুড়ে বাজারে অভিযান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস, বিদেশি চালান আসার খবর—কোনো কিছুই থামাতে পারেনি পেঁয়াজের দরবৃদ্ধিকে। ডাবল সেঞ্চুরি করেছে পেঁয়াজ। এতে ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এর আগে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৪০ টাকায় উঠেছিল। সেটাই ছিল এ যাবতকালের সর্বোচ্চ দর। এরপর এবছরই পেঁয়াজের দাম ২০০ ছাড়ালো। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।