রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে সময় কাটাতে পারেন রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তনে যোগ দিতে রাজশাহী আসছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। সমাবর্তনে এসে পদ্মাপাড়ের অপরুপ দৃশ্য দেখতে রাজশাহী পদ্মার টি-বাঁধ পরিদর্শন করে সেখানে সময় কাটাতে পারেন রাষ্ট্রপতি।

রাজশাহীর একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বিষয়টি সিল্কসিটি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, এর আগেও একই স্থানে সময় কাটিয়ে গেছেন রাষ্ট্রপতি। রাজশাহী সফরে এসে তিনি পদ্মাপাড়ে সময় কাটান। এ উপলক্ষে টি-বাঁধে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জার প্রস্তুতি। তার আগমন উপলক্ষে পদ্মা পাড়ে একটি বসার জায়গা গড়ে তুলছে জেলা প্রশাসন।

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ নগরীর টি-বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে তিনি কিছু সময় কাটাতে পারেন। এর জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যাবস্থাও। আর তাই টি-বাঁধের এই সৌন্দর্যকে আরও বিমোহিত করার জন্য কাজ চলছে।

মঙ্গলবার সরেজমিনে নগরীর টি বাধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, টি-বাঁধের গেটের সামনে টি-বাঁধ সড়কে ঢালাই কাজ ও সিড়ি সংস্কার করা হয়েছে। আর বাঁধের উপরে তৈরী করা হচ্ছে ছাউনি। পাশের তৈরী অস্থায়ী শৌচাগারটি চলছে রঙের কাজ। প্রতিটি গাছের গোড়া ইট দিয়ে বাধায় ও রং করে সৌন্দর্য মন্ডিত করা হচ্ছে।

এর মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন করছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। গাছের গোড়া এবং সিড়ি তৈরীর কাজটি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গতবার রাষ্ট্রপতি আগামনে অস্থায়ী শৌচালয়টি তৈরী করছে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এর আগে, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ রাজশাহী সফরে এসে নগরীর পদ্মাপাড়ে সময় কাটান। সেই হিসেবে এবারো পদ্মার অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে তিনি টি-বাঁধে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন-এমন সম্ভাবনা মাথায় রেখেই জেলা প্রশাসন আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। এরই অংশ হিসেবে সেখানে একটি বসার স্থান গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি টয়লেট সংস্কার করা হচ্ছে।

এদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে মোট ছয় হাজার ৯ জন গ্র্যাজুয়েট নিবন্ধন করেছেন।

সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে ব্যাপক শোভাবর্ধনের কাজ চলছে। এ কাজের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কমিটিও গঠন করেছে। বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা।

বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, এরই মধ্যে দুইটি প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার চত্বর, সাবাস বাংলাদেশ মাঠ, জুবেরী ভবন, শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বর, কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন, শের-ই-বাংলা ও বঙ্গবন্ধু হলসহ বেশ কয়েকটি ভবন রঙ করা হচ্ছে। একাডেমিক ভবনগুলোর মধ্যে রবীন্দ্র ভবন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনগুলো রঙ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাহারি ফুলের গাছ লাগানো হচ্ছে।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডের আশেপাশের গাছগুলোতে রঙ করাসহ বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কার ও ঝোঁপঝাড় পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে শহীদ ড. শামসুজ্জোহা চত্বর পর্যন্ত ফুটপাত ও বাগানটিতেও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। জুবেরী ভবনের কাছে প্রস্তুত করা হয়েছে অতিথিদের গাড়ি পার্কিং-এর স্থান।

স/অ