রাজশাহীর চিড়িয়াখানায় অজগরের খাঁচায় মুরগি!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী শহীদ এএইচএম কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় অজগরের খাঁচায় মুরগি রাখা হয়েছে। যে খাঁচায় থাকার কথা অজগর, সেখানে মুরগির অভয়াশ্রম! তাহলে কি সেখানে অজগর নেই?

খাঁচায় লেখা রয়েছে অজগর। কিন্তু সেখানে কোনো অজগর দেখা যায়নি। শুধু কয়েকটি মুরগি দেখা গেছে খাঁচার ভেতরে। এ নিয়ে দর্শনার্থীরা নানা কথা বলাবলি শুরু করেন। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অজগর আছে, কিন্তু শীতের সময় খাঁচার ভেতরের গর্ত থেকে কম বের হওয়ায় দেখা যায়নি।

শনিবার সকাল দশটায় চিড়িয়াখানায় গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

নির্ধারিত মূল্যে টিকিট কিনে দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানার বিভিন্ন পশু-পাখি দেখতে যান। কিন্তু বেশকিছু খাঁচায় নির্দিষ্ট পশু কিংবা প্রাণী থাকার কথা থাকলেও তা দেখতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন দর্শনার্থীরা।

শনিবার সকালে ‘অজগর’ লেখা খাঁচায় অজগর দেখতে গেলে উঠে আসে ভিন্ন চিত্র। সেখানে সাদা চোখে কোনো অজগর দেখা যায়নি। এসময় খাঁচার ভেতরে কয়েকটি মুরগিকে খাদ্য খেতে দেখা যায়। এসময় দর্শনার্থীরা নানা কথা বলাবলি করতে থাকেন।

শিহাব নামের দর্শনার্থী বলেন, খাঁচায় অজগর লিখে ভেতরে মুরগি রেখে প্রতারণার কোনো মানেই হয় না। এছাড়া সবুজ, নাইমসহ কয়েক শিক্ষার্থী চিড়িয়াখানায় আসেন বিশেষ কিছু প্রাণী দেখতে। এর মধ্যে ছিল অজগর। কিন্তু সেখানে অজগর না পেয়ে ব্যঙ্গাত্বক মন্তব্য করেন। এক দর্শনার্থী বলেন, অজগর না-ই থাকতে পারে, ভালো কথা। কিন্তু খাঁচায় অজগর লিখে রেখে মুরগি রাখা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। এটা দেখে বেশ হাসি লাগছে।

পরে তাদের গুঞ্জনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে জানতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। রাসিক মেয়রের নির্দেশপ্রাপ্ত চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত মনিটরিং কর্মকর্তা এইচএম রমজান জানান, খাঁচায় অজগর আছে। খাঁচার ভেতরে আরেকটি বাক্স আছে অজগরের জন্য। সেখানে অনেক সময় ঢুকে থাকে অজগরটি। শীতের সময় অজগর সাধারণত কম বের হয়। দর্শনার্থীরা যে সময় দেখছিল এসময় হয়তো সেটি ভেতরে ছিল।

স/শা