রাজশাহীর ঈদ জামাতে বৃষ্টির বাগড়া, তবে গরম কাটিয়ে স্বস্তি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সকাল আটটায় রাজশাহী হযরত শাহ মখদুম ঈদগাহতে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। এটিই রাজশাহীর বৃহৎ ঈদের জামাত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ভোর ছয়টার দিকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে সেটি ভেস্তে হয়ে যায়। এখানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদের জামাতে অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ঈদ জামাত ভেস্তে যায়। এখানে জমে হাটঁপানি। বাধ্য হয়ে মেয়র রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামাতে অংশ নেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা মুস্তাফিজ মিশু।

এর পর সকাল আটটায় শাহ মখদুম দরবার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এভাবে বৃষ্টির কারণে রাজশাহী নগরীর প্রত্যেকটি ঈদগাহতেই জামাত অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। তবে নগরীর মসজিদগুলোতে দুই থেকে তিনবার করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে মুসল্লিদের ভিড় লক্ষ করা যায়।

জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও একই অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি থামে সকাল ৯ টার দিকে। এ কারণে কোথাও ঈদগাতে জামাত আদায় করা যায়নি। তবে গত কয়কেকদিনে টানা গরম কেটে গেছে মশুলধারে বৃষ্টির কারণে। প্রকৃতিতে নেমেছে স্বস্তি।

জানা গেছে, রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের নামাজের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেও দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঈদগাহে কোন নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি এবার। নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সহ কোন ঈদগাহে বৃষ্টির কারনে নামাজ পড়তে পারেননি মুসল্লীরা। ভোর ৬টা থেকে পশ্চিম দিক থেকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও সাথে ভারি বৃষ্টি এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যায় প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে। এর পরও বেলা সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ফলে ঈদগাহগুলো নামাজ আদায়ের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। পাড়া মহল্লায় সবখানে স্থানীয় মসজিদে দফায় দফায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের নামাজ।

নগরীতে শাহ মখদুম ঈদগাহের পরীবর্তে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে শাহ মখদুম দরগা মসজিদে। সকাল ৮টা ও সকাল ৯টায় দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে।

এছাড়া সাহেব বাজার বড় মসজিদ, বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদ, রুয়েট জামে মসজিদে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খারুজ্জামান লিটন সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর কাদিরগঞ্জ জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যানে মোনাজাত করা হয়। এদিকে করোনার ধকল কাটিয়ে ২ বছর পর ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ বৃষ্টির কারনে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছে।

তারা বলছে বিপুল অর্থ ব্যয় করে নগরীতে বহু ঈদগাহ সাজানো হয়েছিলো ঈদের নামাজ পড়ার জন্য। কিন্তু ঝড়ে সব ভেঙে গেছে। এদিকে ২ বছর পরও ঈদগাহে নামাজ আদায় না করতে পেরে আক্ষেপ করেছেন মুসল্লীরা।

স/আর