শনিবার , ৯ মার্চ ২০১৯ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীর বাজারে ঢেঁড়সের কেজি ১২০

Paris
মার্চ ৯, ২০১৯ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর কাঁচাবাজারে নতুন করে আসতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালিন সবজি ঢেঁড়স । তবে দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি ঢেঁড়স কিনতে গুণতে হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। ঢেঁড়সের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য সবজির দামও বাড়তি রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দরে বেড়েছে। সবজির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাছ ও মাংসের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে বাজারে। গতকাল শুক্রবার নগরীর সাহেববাজার মাস্টারপাড়া সবজিবাজার ঘুরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢেঁড়স পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করছে। ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের সব সবজিই বাজার থেকে আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে গ্রীষ্মকালিন সবজি বাজারে নতুন করে আসায় সবজির দাম বাড়তি রয়েছে। বাজারে ঢেঁড়সের সরবরাহ খুব বেশি না। সে কারণে দামটাও আকাশছোঁয়া। আর অন্যান্য নতুন সবজির সরবরাহ খুব একটা বেশি না ও সামনের সপ্তাহের বৃষ্টি কারণে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাস্টারপাড়ার সবজি ব্যবসায়ী হাফিজ উদ্দিন বলেন, এবারের মৌসুমে ৫ থেকে ৬ দিন আগে ঢেঁড়স বাজারে আসে। প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি করছি ১২০ টাকা দরে। দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢেঁড়স বাজারে স্বল্প পরিমাণে এসেছে। আড়তে সবার কাছে ঢেঁড়স থাকলেও পরিমাণ খুব অল্প। মূলত সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি। আর এ দামে ঢ্যাঁড়স তো সাধারণ মানুষ খাবে না। অনেকে আছেন যারা নতুন কিছু আসলেই শখ করে খান, তাদের জন্যই ঢেঁড়স এনেছি।

সবজি ক্রেতা বেলিয়ারা আরা বেগম বলেন, বাজারে নতুন করে ঢেঁড়স এসেছে তাই আগ্রহ নিয়ে দাম জানতে গেলাম। এক কেজি ঢেঁড়সের দাম ১২০ টাকা চাচ্ছে বিক্রিতা। এ দামে ঢেঁড়স কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এক কেজি ঢেঁড়স কিনতে যে টাকা খরচ হবে, সেই টাকা দিয়ে তো এক কেজির ব্রয়লার মুরগি কেনা যাবে।

এদিকে বাজারে থেকে শীতকালিন সবজি কমে যাওয়ার ফলে ও গ্রীষ্মকালিন সবজি নতুন করে বাজারে আসার ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আলু, ফুলকপি, মিষ্টি কুমড়া, পুইশাক, টমেটো, বেগুন, করলা, পাতাকপি, লাল শাক, পালং শাক, আদা, শিম, মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

নগরীর মাস্টারপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, ফুলকপি কেজি প্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ টাকা দরে, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ টাকা দরে, টমেটো কেজি প্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ টাকা দরে, কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ টাকা, শসা কেজি প্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ টাকা দরে, লাল শাক ও সবুজ শাক কেজি প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০ টাকা দরে, পালং শাক কেজি প্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ টাকা দরে।
এছাড়াও পেঁপে, লাউ, শিম, বেগুন আদার দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, ইন্ডিয়ান ২০ টাকা ও মেহেরপুরটা ১৬ টাকা দরে। দেশি পুরাত রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, দেশি নতুন পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে।

মাছ ব্যবসায়ী মোমিন উদ্দিন জানান, বাজারে নদীর মাছের দাম কিছুটা বাড়তি রয়েছে। প্রকারভেদে নদীর মাছের দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে পুকুরের মাছের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।

মাংস বিক্রেতা আবদুল্লাহ বলেন, সব ধরনের মাংসের দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। গরুর ও খাসির মাংস কেজি প্রতি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস ৪৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ টাকা দরে ও খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে। সোনালী মুরগির দাম কেজি প্রতি সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা। কক বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে।

 

স/আ

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর