রাজশাহীতে ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিও’র কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এনজিও থেকে গৃহীত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনও ঋণ গ্রহীতাকে ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। আজ সোমবার রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।


চলতি বছরের গত ২৫ মার্চ মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি একটি সার্কুলার জারি করে। এর বিষয় ছিলো- ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণ শ্রেণীকরণ বিষয়ে জারিকৃত সার্কুলার লেটার এর নির্দেশনার বিষয়ে অধিকতর স্পষ্টীকরণ প্রসঙ্গে।

এতে বলা হয়-
শিরোনামোক্ত বিষয়ে অত্র অথরিটির সার্কুলার লেটার নং ৫৩, ২২/০৩/২০২০ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করা যাচ্ছে।
বিরজমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অত্র অথরিটির সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সমূহের ঋণগ্রহীতাগণের ব্যাবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্থ হওয়ার আশংকা দেখা দেয়ার ক্ষতিগ্রস্থ ঋণগ্রহীতাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে অত্র অথরিটি কর্তৃক সূত্রেলিখিত সার্কুলার লেটার টি জারি করা হয়।

ইস্যুকৃত সার্কুলার লেটারে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণীমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরুপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। কোন ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণীকরণ করা যাবে মর্মে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠনসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। উক্ত সার্কুলার লেটার এর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এমএফআইসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট অস্পষ্টতা পরিলক্ষিত হওয়ার সার্কুলার লেটার বর্ণিত বিষয়াবলী অধিকতর স্পষ্টীকরণের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে।

এপ্রেক্ষিতে বিষয়টি অধিকতর স্পষ্টীকরণের লক্ষ্যে জানানো যাচ্ছে যে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাপ্য কোন কিস্তি/ঋণকে বকেয়া/ খেলাপী দেখানো যাবে না।

অর্থাৎ এই সংকটময় সময়ে এমএফআই কর্তৃক ঋণগ্রহীতাদেরকে কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোন গ্রাহক স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সে ক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণের কোন বাধা থাকবে না।

প্রসঙ্গত, এমএফআই কর্তৃক নতুন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বর্ণিত সার্কুলার লেটারের মাধ্যমে কোনরূপ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়নি।