নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে স্ত্রী মিথিলা আক্তার মিমকে (২১) হত্যার দায়ে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালীর বাখরাবাজ দক্ষিণপাড়া থেকে হত্যকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হলেন- একই এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে আরিফ ইসলাম (২৪)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা দায়ে স্বীকার করেছেন আরিফ। এর আগে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতের মিমকে হত্যা করে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে আরিফ। সকালে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আরিফের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আরিফ নিজ বাড়ি ছাড়া অন্য জায়গায় স্ত্রী মিমকে নিয়ে ভাড়া থেকেছেন। বর্তমানে তারা আরিফের বাড়িতে থাকেন। গতকাল শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে কাজ থেকে বাড়িতে ফিরে মিমকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে বের হয় আরিফ। এক পর্যায়ে মিমকে নগরীর তালাইমারী শহিদ মিনারে এক ছেলে সাথে বসে থাকা অবস্থায় দেখে। সেখান থেকে আরিফ মিমকে বাসায় ধরে নিয়ে আসেন। এর পরে নিজেরা বাকবিতান্ডার জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে মিমের গলায় তার পিচেয়ে ধরেন আরিফ। এতে মিমের মৃত্যু হয়। পরে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে ওই তারের সাথে ঝুঁলিয়ে দেয় মিমকে। এর পরে সকালে পুলিশে খবর দেয় আরিফ। পুলিশ গিয়ে মিমকে ঝুলন্ত অবস্থায় পায়। এসময় মিমের পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ।
এসময় মিমের মা পুলিশকে জানায়, এই মৃত্যু নিয়ে তার আপত্তি আছে। মরদেহ না নামাতে পুলিশকে জানায়। এরপরে ঢাকা থেকে মিমের মা রাজশাহীতে আসেন। মিমের মা পুলিশের কাছে দাবি করেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ছেলের অন্য মেয়ের সাথে পরকিয়া আছে। এর জেরে দাম্পত জীবনে কলহ।
ওসি আরও বলেন, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আরিফকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। এসময় কিভাবে হত্যা সংঘটিত করেছেন- তা পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেন আরিফ। পরে মরদেহ করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর আসামি আরিফকে হত্যা মামলায় সোমবার (২৫ জানুয়ারি) চালান দেওয়া হবে। এছাড়া আইনগত প্রক্রীয় শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে এই কর্মকর্তা জানান।
স/অ
