রাজশাহীতে স্কুল বন্ধ থাকলেও বেতনের জন্য অভিভাবকদের ফোন, ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে স্কুল বন্ধ থাকলেও বেতনের জন্য অভিভাবকদের ফোন দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিবাবকেরা। সম্প্রতি করোনভাইরাসের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে মেসের ভাড়া নিয়ে মালিক পক্ষ আর স্কুলের বেতন নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রশি টানা-টানি চলে আসছে।


আরো পড়ুন:-মেস ভাড়া ও ফি নিয়ে হুমকিরমুখে রাজশাহীর লাখো শিক্ষার্থীর পড়া-শোনা


এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে কথা চালাচালি। তবে এর কোন সুরহা এখন পর্যন্ত মেলিনি। তবে মেস ভাড়ার বিষয়ে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন রাজশাহী মেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, মালিক পক্ষের সাথে আমরা বসার চেষ্টা করছি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তেমন সারা পাওয়া যয়ানি বলে জানান অভিভাবকরা।

গতকাল শুক্রবার ‘আওয়ার রাজশাহী’ নামের একটি ফেসবুক পেজে স্কুলের বেতন নিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেন Adv Motiur Rahman Montu। তার লেখাটা সিল্কসিটিনিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো- #‘রাজশাহীতে বন্ধ স্কুলে ফোন করে দুই মাসের পুরো বেতন একসাথে চাওয়া হচ্ছে। বিষয়টা অভিভাবকদের জন্য বিব্রতকর সাথে লজ্জাজনকও বটে!

গত দুই মাস যাবৎ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বন্ধ রয়েছে, সেখানে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা চাওয়া কতোটা যুক্তিযুক্ত তা ভাববার বিষয়।

গত জানুয়ারীতে সকল স্কুলে ভর্তিতে সেশন ফি’ এর নামে মোটা অংকের টাকা নেয়া হয়েছে। তারপর মাত্র ৩ মাস স্কুল চলার পরই বন্ধ হয়েছে। পরবর্তীতে কবে স্কুল খুলবে সেটাও অনিশ্চিত। সেখানে স্কুল কতৃপক্ষের বেতনের ভাবনা আসে কোত্থেকে ?

অপরদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্কুল বন্ধ থাকার কারনে স্কুলের ম্যানটেনেইস খরচও তেমন লাগেনি। বিদ্যুৎ, পানি, চক, ডাস্টার, কাগজ, কলম ইত্যাদি খরচ হয়নি। সেখানে পুরো বেতনের প্রসঙ্গ আসে কিভাবে…

বিষয়টি স্কুল কতৃপক্ষ সহ সকলের ভাববার বিষয়।কারনঃ স্কুলের সাথে হাজারো ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জড়িত। স্কুল কতৃপক্ষের ত্যাগ থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও শিখতে পারে ত্যাগের মহিমা।’

স/আ