রাজশাহীতে সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে চলছে কোচিং সেন্টার

পুরনো ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু রাজশাহীতে মুনাফা লাভের আশায় সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে এখনো কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু কোচিং ব্যবসায়ী। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টারকে জরিমানাও করেছে। তারপরও রাজশাহীতে বন্ধ হয়নি কোচিং ব্যবসা।

অভিযোগ রয়েছে- বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে আসতে বাধ্য করছে। এতে করোনাঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কোমলমতি শিশুরা।

জানা যায়, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল – কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। কিন্তুু করোনাভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান ২১ তারিখ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। মহানগরীর কাজলা,বিনোদপুর,কাটাখালির অধিকাংশ কোচিং সেন্টারের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে ভিতরে চলছে পাঠদান।

এদিকে সরকারের জারি করা নির্দেশনা অমান্য করায় মহানগরীর বেসরকারি স্কুল ও কোচিং সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমান আদালত।

এসময় উপশহর নিউমার্কেট এলাকার সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজ নামের প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও কাদিরগঞ্জ এলাকায় উদ্ভাস কোচিং সেন্টারে ১০ হাজার ও আইরিস নার্সিং ভর্তি কোচিং সেন্টারে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

স্কুল-কলেজের পাশাপাশি সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কিন্তুু নির্দেশনা উপেক্ষা করে কচিং সেন্টার খোলা রেখে চলছে পাঠদান। এদিকে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে, সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কোচিং পরিচালনা করলে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় জরিমানা আদায় করা হবে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের ভ্রাম্যমান আদালত নিয়মিত কাজ করছে। শুধু কোচিং সেন্টার নয়; সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্যকারীদের সতর্কসহ জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। জনস্বার্থে ও করোনার বিস্তাররোধে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এএইচ/এস