রাজশাহীতে সওজের কোটি টাকার জমি দখল করে ভবন নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে সওজের কোটি টাকার জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। পবা উপজেলার মধুসূদনপুর মৌজায় দীর্ঘ ৪৬বছর পরে হুট করেই ওই জমির মালিকানা দাবি করে সরকারি জায়গায় ভবন নির্মাণ করছেন আমজাদ আলী নামে এক ব্যক্তি।

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ভুমি অধিগ্রহণ শাখার এক নথিতে দেখা যায়, ১৯৭৩-৭৪ সালে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। এতে দেখা যায়, এল এ কেস নং ৩৪/৭৩-৭৪ এ জে এল নং ৮৫’র ৩৬৬ দাগে ১৫ শতাংশ জমির ১৫ শতাংশেরই প্রাপ্য মূল্য বুঝিয়ে দেয়া হয় তৎকালীন মালিক রহমান মণ্ডল দিংকে। অধিগ্রহণের ফলে জমির মালিকানা সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

কিন্তু মধুসুদনপুর মৌজার সরকারি মালিকানাধীন ওই জমির নিজের দাবি করে অবৈধভাবে দখলে নিয়ে গেল কয়েকদিন ধরে মাটি ভরাটের পর এখন ভবন নির্মাণ করছেন ওই গ্রামের আমজাদ আলী। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক সংলগ্ন ওই জায়গা মাটি দিয়ে ভরাট করে কংক্রিটের ভিত্তির উপরে মজবুত করে দেয়াল তোলা হয়েছে। এজন্য মহাসড়কের ওপর রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রীও।

এদিকে সরকারি জমি দখলের খবর পেয়ে গত ২ জানুয়ারি রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুর রহমান স্বাক্ষরিত একচিঠিতে অবৈধ স্থাপনা অপসারণে আমজাদ আলীকে নির্দেশ দেয়া হয়। এই চিঠির অনুলিপি পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই চিঠির পর ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ হয় নি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পাশ্ববর্তী উপজেলা মোহনপুর উপজেলার ধুরইলের বেসরকারী সার্ভেয়ার নওশাদ আলীর যোগসাজশে আমজাদ আলী সরকারি জমি দখল করেছেন। নওশাদ জমি মেপে দিয়ে আমজাদ আলীকে তা দখলে নিয়ে ইন্ধন যুগিয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে সার্ভেয়ার নওশাদ আলী বলেন, অধিগ্রহণের পর জায়গা পড়ে থাকলে জমিরভোগ দখল ও ব্যহার করতে করতে পারবে পূর্বের মালিক। এজন্য আমি মেপে দিয়েছি।

তবে আমজাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে মালিকানা দাবি বলেন, ‘আমার জমিতে আমি ঘর নির্মাণ করছি এতদিন কিছু করি নি। এখন জমিটি কাজে লাগাতে চাই’।

এ বিষয়ে রাজশাহী সওজের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুর রহমান বলেন, ওই জমিটা অধিগ্রহণ করা হয়েছে বহুবছর আগেই। কিন্তু হঠাৎ এখন ভোগদখলে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আমরা জেনেছি। এরপরই মহাসড়কের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা তার নিজ খরচে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। এ নিদের্শনা না মানলে বিধি আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএইচ/এস