রাজশাহীতে শেষ হাসি হাসলো মাগুরা

শাহিনুল আশিক:


খেলা শুরু ১১ মিনেটে খাদিজার গোলে লিড পায় রংপুর দল। তবে তা ক্ষণস্থায়ী। মাত্র ছয় মিনিটের ব্যাবধানে ১৭ মিনিটের মাথায় নবিরনের প্যালান্টি গোলে সমতায় আসে মাগুরা দল। তখন রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামের গ্যালারির অল্প দর্শক থাকলেও উত্তেজনা ফেরে খেলায়।

এর পরে রংপুর ও মাগুরা দলের মধ্যেকার খেলা বেশ উত্তেজনার মধ্যেই চলতে থাকে। খেলার ২২ মিনিটের মাথায় ফের দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় নবিরন। তখন খেলার ফলাফল দাঁড়ায় দুই-এক। অর্থাৎ মাগুরা-২ ও রংপুর-১।



অতিরিক্ত এক গোল খেয়ে মাঠে বেশ চাপ সৃষ্টি করে রংপুর দল। রংপুর দলের খেলোয়াড়ার গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। একের পরে এক কাউন্টার অ্যাটাকিংয়ে যায়। তবে শক্তিশালী ডিফেন্ডার ভাঙ্গতে পারেনি রংপুরের মেয়েরা। মাগুরা দল চাপকে পাত্তা না দিয়ে গোলের পেছনে ছুটতে থাকে। এবার ৩৪ মিনিটে আসে অর্পিতা পা থেকে একটি গোল। স্কোর দাঁড়ায় মাগুরা-৩ ও রংপুর-১।

তখন খেলার দ্বিতীয় আর্ধ। তিনটি গোল হজম করতে হয়েছে রংপুরকে। এতে খেলার ফলাফল তিন-এক। শেষ সময়ে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে টিম রংপুর। অনেক চেষ্টার পরেও কাঙ্খিত গোলের দেখা পাইনি রংপুর দল। ফলে একটি গোল নিয়ে সন্তষ্ট থাকতে হয় দলটিকে।



খেলার মাঠ: খেলার সর্বোচ্চ গোল দাতা অর্পিতা। পুরো চ্যাম্পিয়শীপে ৯টি গোল এসেছে তার পা থেকে। এছাড়া চ্যাম্পিয়শীপে  ম্যানঅফদ্যা ফাইনাল হয়েছেন- নবিরন খাতুন।

এই আসরে মাগুরা ও রংপুরের খেলার মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো জেএফএ অনুর্ধ্ব ১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়শীপের। আজ সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটায় রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরে খেলোয়াড়দের মাধে পুরস্কার বিতরণ করেন- রাজশাহী সিটি করর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

প্রসঙ্গত, ২৭ নভেম্বর দেশের আটটি দল নিয়ে এই আসর বসে রাজশাহীতে। আটটি দল দুইটি গ্রুপে খেলায় অংশ নেয়।

স/আ