রাজশাহীতে শিক্ষা প্রকৌশলীকে পেটানোর ঘটনায় আ.লীগ নেতার সঙ্গে সমঝোতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরে ঢুকে সহকারী এক প্রকৌশলীকে ঠিকাদারের লোকজন পিটিয়ে আহত করলেও ঘটনাটি সমঝোতা করা হয়েছে। গত বুধবার গোপনে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করা হয়। ফলে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আর কোনো তৎপরতরা দেখায়নি।

আহত সহকারী প্রকৌশলী নেওয়াজ আহমেদ সিদ্দিকী চিকিৎসা শেষে এখন ছুটিতে আছেন। তিনি ওই ঘটনার পরে এখনো অফিস করেননি বলেও জানা গেছে।

রাজশাহী নগরীর উপশহর এলাকার ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগের নেতা হাসানের লোকজন ঈদেরিআগে গত ১৪ জুন অফিসে ঢুকে প্রকৌশলী নেওয়াজ আহমেদকে পিটিয়ে আহত করেন।  হাসান এর আগে বিএনপি করতেন। তবে সম্প্রতি দিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে ১৫-২০ জনের একটি দল শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরে ঢুকে সহকারী প্রকৌশলী নেওয়াজ আহমেদ সিদ্দিকীকে কেন বিল ছাড়তে দেরি হলো বলে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা ওই প্রকৌশলীকে দরে পেটাতে থাকেন। এতে তিনি আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভুল সংশোধনী: এদিকে ওই ঘটনার পরে ভুল তথ্যের কারণে সংবাদে নাইস হোটেলের মালিক হাসানের নাম উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে নাইস হোটেলের মালিক হাসান জড়িত ছিলেন না। নগরীর উপশহর এলাকার ঠিকাদার হাসানের লোকজন ওই ঘটনাটি ঘটায়। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে ওই দিনই নাইস হোটেলের মালিক হাসানের নামটি সংবাদ থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও অনিচ্ছাকৃত ওই ভুলের জন্য সিল্কসিটি নিউজ পরিবার আন্তরিকভাবে দু:খিত।

 

স/আর