রাজশাহীতে লকডাউন ভেঙে বাড়ছে ভিড়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার হিড়িক

নিজস্ব প্রতিবেদক:


আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহীতে কঠোর লকডাউন। তাই শেষ সময়ে লকডাউন কেনা কাটায় মেতেছে ক্রেতা ও বিক্রেতারা। শহরের দোকানগেুলোর বাইরে তালা, ভেতরে খোলা। বিক্রেতার প্রতিনিধি বাইরে থাকছে- ক্রেতা আসলে ভেতরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দিচ্ছে। এমন চোর-পুলিশ খেলা চলছে বেশ কিছুদিন থেকে।



আজ বুধবার (৩০ জুন) সকাল থেকে রাজশাহী সাহেববাজারের বেশি কিছু দোকান খোলা দেখা গেছে। দোকানগুলোতে ছিলো ক্রেতাদের ভিড়। এছাড়া নগরীর সড়কগুলোতে অন্যদিনের তুলনায় ছিলো স্বাভাবিক দিনের মতো যানবাহনের উপস্থিতি। যদিও নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশের চেক পোস্ট রয়েছে। তার পরেও বাজারে এতো ভিড় ছিলো।

রাজশাহীর বিভিন্ন সড়কে মানুষের চেয়ে যাববাহনের বেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা করেছে। এছাড়া দোকানপাটগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিত বেশি ছিলো চোখে পড়ার মতো। অনেকটাই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার হিড়িক বলাই চলে। তবে জুনের শেষে ও জুলাইয়ের শুরু। তাই পরিবারের মাসিক বাজার করছেন অনেকেই।

অন্যদিকে, রাজশাহী সাহেববাজারে আসা মানুষগুলোর মুখে মাস্ক রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট স্থানে নয়। কারও আবার থুতনিতে। এছাড়া চলা-ফেলায় মানতে দেখা যায়নি দূরুত্ব। অনেকটাই গাদাগাড়ি করে চলাফেরা করছেন সবাই। দোকানগুলোতেও একই অবস্থা। পাশা-পাশি দাঁড়িয়ে কেনা-কাটা করছেন সবাই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়- সাত দিনের কঠোর লকডাউন। এতে মানুষ বাইরে বরে হতে পারবেন না। তাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিচ্ছেন অনেকেই। অনেকেই আবার লকডাউন বাড়ার সঙ্কায় বেশ করে বাজার করে নিচ্ছেন।

সাইফুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা জানান- প্রশাসন বলছে কঠোর লকডাউন। তাই সব কিছু বন্ধ থাকবে। আমরা চাকরীজীবী মানুষ। পুরো মাসের বাজার একবারে করি। আজ বাজার করতে না পারলে না খেয়ে থাকতে হবে। তাই কষ্ট করেও হলে আজ বাজার করতে হবে। সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা এসেছে, সেটি বাড়তেও পারে। তাই আগ-পিছ না ভেবেই বাজারগুলো করে নিলাম।

লুৎফর রহমনা নামের এক অটোরিক্সা চালক জানান- সকালের দিকে তেমন মানুষ ছিলো না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষ। কয়েক দিনের তুলনায় আজ বেশি মানুষ। তারা আশে-পাশে থেকে সাহেববাজারে আসছে বেশি। করছেন কেনা-কাটা। রিক্সায় অনেকেই বলছেন- লকডাউনে কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না। তাই বেশি করে বাজার করে নিচ্ছেন তারা।

নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান- আগামীকাল থেকে কঠোর লাকডাউন। তাই মানুষ হয়তো কিছু কেনা-কাটা করছে। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে দাঁয়িত্ব পালন করা হচ্ছে। প্রতিটি চেকপোস্টে তল্লাশী করা হচ্ছে। বিনাকারণে বাইরে আসা মানুষগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

স/আ