রাজশাহীতে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জালিয়াতী, কারচুপি, ভোট ডাকাতি, জুলুম নির্যাতন এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাজশাহী মহানগর বিএনপি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে নগরীর মালোপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু।

সভাপতির বক্তব্যে বুলবুল বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, সিটি নির্বাচনের আইনশৃংখলা বাহিনী, প্রশাসন এবং দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং এবং পোলিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশন এবং রাজশাহী রিটার্নিং অফিসারের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপে রাজশাহী সিটি নির্বাচন মারাত্বকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সমর্থকদের সাথে পাল্লা দিয়ে পুলিশ নৌকায় ভোট দিয়েছে। জনগণকে ভোট প্রদান করতে দেয়নি। কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি’র কোন এজেন্টকে কোন বুথে থাকতে দেওয়া হয়নি। অনেক কেন্দ্রে প্রবেশও করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে সরকার দলীয় প্রার্থীর নিজস্ব লোক প্রিজাইডিং ও পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ১ থেকে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত একই কায়দায় ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। সকল কেন্দ্রেই আগে থেকেই মেয়রের ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ছেলেরা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। সময়ের পূর্বেই ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীর মেয়র শহরটাকে বদলাতে চেয়ে পোস্টার লিফলেট করেন। তবে সত্যিই তিনি রাজশাহীর পরিবেশ বদলে দিয়েছেন। তিনি ভোট ডাকাতী করে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে মেয়র হয়ে জনগণের ঘৃণার পাত্রেও পরিণত হয়েছেন।

তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে দলীয় প্রার্থী এ.এইচ.এম খায়রুজ্জমানকে বিজয়ী করেছে। তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন নাই। তিনি জনগণের নেতাও নন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী পুলিশ লীগ, প্রিজাইডিং ও পোলিং লীগ এবং প্রশাসনলীগ মিলে আগের রাতেই নৌকা প্রথীকে সীল মেরে রেখেছিল। ভোটের দিনের তারা সন্ত্রাস করে বেলা ১০ থেকে ১১টার মধ্যে প্রতিটি সেন্টারে মেয়র ব্যালট পেপারে নৌাকার সীল মেরে নেয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমিনুল হক মিন্টু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, বর্তমান সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলি জ্যাকি, নাহিন আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদলর সহ-সভাপতি শাহরিয়ার আমান বিপুল ও মহিলা নেত্রী গুলশান আরা মমতাসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

স/শা