রাজশাহীতে মসজিদভিত্তিক ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি চালুর আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকার ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি নিয়েছে। এ অনুসারে কাজ চলছে। তবু প্রত্যাশানুযায়ী ভিক্ষুকমুক্ত হচ্ছে না। কারণ, ভিক্ষুকরা তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করছে না। তারা এর বিনিময়ে কষ্ট ছাড়াই একজন দিনমজুরের চেয়ে বেশি টাকা পাচ্ছে। এভাবে তাদের ভিক্ষার স্বভাব থেকেই যাচ্ছে। তাদেরকে এলোমেলোভাবে দান করা বাদ দিতে হবে। বছর পর একটা টাকা থেকে তাদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এজন্য রাজশাহীতে মসজিদভিত্তিক ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি চালুর আহ্বান জানানো হয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো. নূর-উর-রহমান। রাজশাহী নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে তিনি বলেন, নওগাঁয় ইতোমধ্যে মসজিদভিত্তিক ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। সেখানে কোনো ভিক্ষুককে আলাদা-আলাদাভাবে টাকা দেয়া হয় না। সাধারণত ভিক্ষুকরা মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে টাকা চায়। আর এতে মানুষ দয়ার মানসিকতায় তাদেরকে টাকা দেয়। এতে করে ভিক্ষুকরা তাদের পেশা ছাড়ে না। আবার এর মাধ্যমে কোনো ভিক্ষুকের নিরাপদ কর্মসংস্থানও হয় না। তাই সেখানে মসজিদে একবছরের উত্তোলনকৃত টাকা দিয়ে ক্রমান্বয়ে ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি চালু রয়েছে। আর এতে সাহায্য করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মসজিদে উত্তোলনকৃত টাকার সমপরিমাণ টাকা দেয়া হয়। এর মাধ্যমে মোট টাকা দিয়ে ভিক্ষুকদেরকে এক এক করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। তাই আমরা রাজশাহীতেও এভাবে মসজিদভিত্তিক ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি চালুর আহ্বান জানাচ্ছি।

এসডিজি অর্জনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভূমিকা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, এসডিজি অর্জনে কাজ করছে সরকার। আর এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। কিন্তু এ কাজে শুধুমাত্র সরকার কিংবা সমাজসেবা অধিদপ্তরই ভূমিকা রাখবে এমন নয়, বরং ব্যক্তি, সমাজসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ড. মো. রাজ্জাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার হেমায়েতুল ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক সোনার দেশের সম্পাদক আখবারুল হক মিল্লাত, দৈনিক সোনালী সংবাদের প্রধান নির্বাহী লিয়াকত আলী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এসডিজি হচ্ছে কাউকে পেছনে নয়, বরং সবাইকে একসাথে নিয়ে উন্নয়ন করা। এজন্য ব্যক্তি উদ্যোগের সাথে সামাজিক ও সামগ্রিক প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন তারা।

স/শা