শ্রমিক সংকট চরমে, বাইরে থেকে শ্রমিক এনে কাটতে হচ্ছে ধান

রাজশাহীতে বোরো ধান কাটা শুরু, বাম্পার ফলনে কৃষক খুশি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীতে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে । শুরুতে বোরো ধান রোপণে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবার বাম্পার ফলন হবে এমনটা আশা করছেন চাষিরা। মূলত আগাম জাতের বোরো ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। রাজশাহীর ৯টি উপজেলাতেই আগাম জাতের বোরো ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। বিশেষ করে এবার ঝড়ঝাপটা তেমন না থাকায় আগেই ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান ও খড় ভালো ভাবে শুকিয়ে বাড়িতে তুলতে পারছেন বোরো চাষিরা। আসা করা যাচ্ছে সপ্তাহ দু-এক দিনের মধ্যে সব বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করে সুষ্ঠু ভাবে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন বোরো ধানের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,প্রায় বোরো জমির ধান পেকে সোনালী রঙে শোভা ছড়িয়ে দুলছে জমিতে। অন্যদিকে আলু উত্তোলনের জমিতে লাগানো বোরো ধান সুবজ হয়ে বেড়ে উঠছে। বেশকিছু কৃষক জানান,এখনো বহিরাগত শ্রমিকরা না আসায় এলাকার শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের।

বহিরাগত শ্রমিকরা না আসায় স্থানীয় শ্রমিকরা নিজেদের ইচ্ছে মতো শ্রমের মূল্য বাড়িয়ে কেউ পাইট হিসেবে কেউ জমি ঠিকা নিয়ে করছেন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। তবে আসা করা যাচ্ছে দু’এক দিনের মধ্যে বহিরাগত শ্রমিকরা চলে আসবে। এবছর বোরো ধানের যে পরিমাণ ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা তা দু’পাঁচ বছরেও এমন ফলন পাননি। এবছর বোরো জমিতে প্রতি বিঘায় সর্বনিম্ন ৩০থেকে ৩৫ মন করে ফলন হচ্ছে। বাজারে দামও ভালো থাকায় ব্যাপক খুশি হলেও দাম ও আবহাওয়া নিয়ে অনেকটাই সংকিত হয়ে রয়েছে কৃষকরা। তানোর শিবনদী(বিলকুমারী)বিলের একাবারে নিচে থেকে মাথায় ও বাঁশের ভারে করে ধান নিয়ে এসে তালন্দ বাজার পার হয়ে  মুল রাস্তায় পালা দিয়ে রেখেছেন শ্রমিকরা। তারা জানান ১০ জন শ্রমিক এক সাথে কাজ করছি।

বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ মন মুজরীতে ধান কাটা হচ্ছে। যে সব জমি একেবারেই নিচে সেগুলো থেকে ধান বহনে প্রচুর কষ্ট হয়। ওই সব জমিতে বিঘায় ৫ মন করে নেওয়া হয়। আর রাস্তার ধারের জমি সেগুলোতে ৪ মন করে নেওয়া হয়।  তারা হরিদেবপুর গ্রামের সঞ্জয়, বিপুল ও উজ্জলসহ কয়েকজন কৃষকের ধান কেটে বহন করছেন। তানোর থানার মোড়ের ধান ব্যবসায়ী সুনিল দাস জানান,পাকি ১১শ টাকা মন ধান বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের দাম আরো বাড়বে। আমাদের উপজেলায় কাচি পাকি দুই ধরনের হিসাব হয়। ২৮ কেজিতে কাচি ১ মন, বাজার মুল্য ৭০০ টাকা, আর ৩৭ কেজিতে পাকি ১ মন বাজার মুল্য ১১০০ টাকা।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ করেননি তিনি।