রাজশাহীতে বায়ুতে বিদ্যমান বস্তুকনার পরিমাণ নির্ণয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিশ্বের মধ্যে পরিবেশ বান্ধব খ্যাত শহর রাজশাহী। এই শহরের বিভিন্ন স্থানে বায়ুতে বিদ্যমান বস্তুকনার পরিমাণ শনিবার (০৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ণয় করা হয়।

বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে ও বারিন্দ এনভায়রনমেন্ট-এর সহযোগিতায় নগরীর জনবহুল স্থান হিসেবে রেইলগেট, তালাইমারী, সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট ও লক্ষিপুর মোড় হতে এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা হিসেবে বিসিক মঠ পুকুরের নিকটে বায়ুর মান পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেন প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান (পি.এইচ.ডি.)। তাঁকে সহযোগিতা করেন অলি আহমেদ (পি.এইচ.ডি. গবেষক), শামসুর রাহমান শরীফ ও ইফাত আরা।

প্রকৌশলী জাকির বলেন, এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল শুষ্ক মৌসুমের শেষে রাজশাহীর বায়ুতে বিদ্যমান বস্তুকনা পর্যবেক্ষণ। বায়ুতে বিদ্যমান পি.এম ২.৫ এবং পি.এম ১০ নির্ণয় করা হয়। বাংলাদেশের বায়ুর নির্ধারিত ঘনমাত্রা পি.এম ২.৫ এর জন্য ৬৫ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার এবং পি.এম ১০ এর জন্য ১৫০ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার ২৪ ঘন্টার জন্য।

তিনি বলেন, পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পি.এম ২.৫ এবং পি.এম ১০ পাওয়া যায় তালাইমারী মোড়ে, যথাক্রমে ৭৬ এবং ৮৫ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার। প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পি.এম ২.৫ বাংলাদেশের নির্ধারিত ঘনমাত্রার চেয়ে সামান্য বেশি হলেও প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পি.এম ১০ এর পরিমান নির্ধারিত ঘনমাত্রার চেয়ে অনেক কম। বিসিক মঠ পুকুরের নিকট বায়ুর মান তুলনামূলক বেশ ভালো পর্যবেক্ষণে পাওয়া যায়।

জি/আর