রাজশাহীতে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, একদিনে বাড়লো ১৪ সেন্টিমিটার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার বিকেল ছয়টায় পানির উঁচ্চতা এসে ঠেকেছে ১৭ দশমিক ৪৪ মিটারের। যা আগের দিন একই সময়ে ছিল ১৭ দশমিক ৩০ মিটার। সেই হিসেবে এক দিনে পানি বৃদ্ধি পেল ১৪ সেন্টিমিটার। রাজশাহীতে শনিবার বিকেলে পদ্মা বিপদসীমার ১ দশমিক ৬ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মায় রাজশাহী পয়েন্টে বিপতসীমা হলো ১৮ দশমিক ৫০ মিটার।

এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে রাজশাহী শহররক্ষা বাঁধের কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মা। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে শহররক্ষা বাঁধ হুমকিরমুখে পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সেইসঙ্গে বন্যারও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পানি বৃদ্ধি নিয়ে এখনোই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। বর্ষা মৌসুমে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে পদ্মার চরাঞ্চলগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। আবার নতুন নতুন করে পদ্মার তীরবর্তি এলাকাগুলোতেও বন্যা দেখা দিচ্ছে।


রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র মতে, গত শুক্রবার রাজশাহীতে পদ্মায় পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৩০ মিটার। যা গতকাল বিকেল ছয়টায় গিয়ে দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৪৪ মিটার। গত বছর রাজশাহীতে পদ্মায় সর্বোচ্চ পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৪৪ মিটার। সেই হিসেবে গতবারের চেয়ে এখনো এক মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আর বিপতসীমার এক দশমিক ৬ মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘বর্ষণের পানি ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে এসে পদ্মার পানির উচ্চতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা আরো বাড়তে পারে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। তবে তার পরেও বাঁধ নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। বাঁধ রক্ষায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নাই। আর কর্ষায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

এদিকে পানি বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে নগরীর পদ্মা নদীর তীল সংলগ্ন সিমলা পার্ক, লালন শাহ পার্ক, পদ্মা গার্ডেন, বড়কুঠি, কুমারপাড়া, আলুপট্টি এলাকায় বাঁধের উচ্চতার অনেকটা কাছাকাছি অবস্থান করছে পানি। নগরীর পঞ্চবটি, শ্রীরামপুরসহ বিভিন্ন নিচু এলাকাগুলোতে পানি উঠে গেছে। এছাড়াও চরাঞ্চলগুলোতে দেকা দিয়েছে বন্যা। রাজশাহীর মধ্যচর, বাঘা এবং গোদাগাড়ীর কয়েকটি চরে বন্যা দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

স/আর