ছয় দিনে দুর্ঘটনায় রাজশাহীতে ২২ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে চলতি মার্চ মাসের ৬দিনে নৌ ও সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্য হয়েছে। এর মধ্যে নৌ দুর্ঘটনায় নয় জন ও সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ ও ট্রেনের কাটাপড়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটানায় সংশ্লিষ্ট  থানায় মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজশাহী এই প্রথম নৌকাডুবিতে নয়জন মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেলো। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া সড়কে প্রতিদিন ঘটছে প্রাণহানীর ঘটনাও।

গত শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোদাগাড়ীর কাদিপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এই দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক মার্চ আরো দুইজন মিলে আট জনের মৃত্যু হয়।

তার চারদিন পরে গত চার মার্চ তানোরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মটরসাইকেল চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।  নিহতরা হলেন, উপজেলার প্রাণপুর গ্রামের শফিউল ইসলামের ছেলে মিনারুল ইসলাম (২০) ও একই গ্রামের সামশুদ্দিনের ছেলে ফরিদ (২৫)।

তার দু’দিন পরে শুক্রবার ৬ মার্চ রাজশাহীর পদ্মায় নৌকা ডুবির ঘটনায় বরযাত্রীসহ ৪১জন নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরা হলেন- কনে পূর্ণিমার চাচা শামীম হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী মনি খাতুন (৩০), তাদের মেয়ে রশ্নি খাতুন (৭), কনের দুলাভাই রতন আলী (২৬), খালাতো ভাই এখলাস হোসেন (২৮), ফুফাতো বোন রুবাইয়া খাতুন স্বর্ণা (১৩) এবং খালা আখি খাতুন (৩০) ও সুইটি খাতুন পূর্ণিমা।

গতকাল মঙ্গলবার (১০ মার্চ) নগরীর তালাইমারীর বালুঘাটে ট্রাকের চাপায় মাইনুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। 

আজ বুধবার পবা উপজেলার রহমান কোল্ড স্টোরের সামনে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আব্দুস সালামের ( ৪৫) মৃত্যু হয়। তিনি পবা উপজেলার মধুসূদনপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই দুর্ঘটনায় বাবু (৩৫) নামের আরেক জন আহত হন।

পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গোলাম মোস্তাফা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।

স/আ