রাজশাহীতে তীব্র গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে বিরাজ করছে তীব্র দাবদাহ। প্রচ- গরমে নগরবাসীসহ গোটা জেলার মানুষ ও  প্রাণীকূলের হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিক থেকেই এ দাবদাহ শুরু হয়। বিকেল তিনটায় রাজশাহীর আবহাওয়া গিয়ে দাঁড়ায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জরুরী কাজ ব্যাতিত বাড়ির বাইরে যেতেও সাহস পাচ্ছিলেন না নগরবাসী।

 

  • দুপুরের দিকে নগরীর সব রাস্তা-ঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। এমন অবস্থায় কিছুটা স্বস্তি পেতে অনেকেই ছুটছেন আখের রস, তরমুজ, শসা ও ডাবের পানির দিকে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা এসব কেনা-বেচাও হচ্ছে দেদার। আবার কনফেকশনারী থেকে শুরু করে বিস্কুট বিপনীগুলোতে আইসক্রীম ও কমল ঠান্ডাপানী ‘র বেচা-বিক্রি বেড়েছে।ভ্রাম্যামান আইসক্রীম ওয়ালাদেরও ব্যবসা বেড়েছে।


নগরীর কলাবাগানের রাজীব স্মৃতি চত্বরে বসে থাকা এক ভ্রাম্যমাণ আখের রস বিক্রেতা জানান, এই গরমে আখের রস মানুষের তৃষ্ণা মেটানোর সাথে সাথে ক্লান্তি দুর করতে সাহায্য করে। এ জন্য পথচারীরা গরমের দাপট থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেতে আখের রস বেশী পান করছেন। তিনি প্রতি গ্লাস আখের রসের ১০ টাকা করে বিক্রি করছেন বলেও জানান।

নগরীর লক্ষিপুর মোড়, সি এন্ড বি মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড় ও সাহেব বাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারেও আখের রস, তরমুজ ও ডাব বিক্রি করছেন বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা।

 

লক্ষীপুর মোড়ে একজন ডাব বিক্রেতা সলিমুদ্দিন সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, সারা বছরই এখানে ডাব বিক্রি করি। অন্য সময় ডাব তেমন খুব একটা বিক্রি হয় না। তবে এই গরমকালে ডাবের চাহিদা বৃদ্ধি পায় তিন-চার গুন। গরমের অস্বস্তি দূর করতে অনেকেই ডাব পান করেন। প্রকারভেদ প্রতিটি ডাব এখন ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

  • লক্ষীপুর এলাকায় ডাব পানে ব্যস্ত এমন একজন ক্রেতা আনিসুল হক  সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, ‘যা গরম পড়ছে, তাতে ডাবের কোনো বিকল্প নাই। ডাব খেলে অনেকটা স্বস্তি আনে মনে। শরীরও ঠান্ডা থাকে।’
    নগরীর রেলগেট এলাকার তরমুজ বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, একটু নরমাল আবহাওয়া হলেই তরমুজ বিক্রি কমে যায়। আবার যখন গরম বাড়ে, তখন বিক্রি বাড়ে। এখন তীব্র গরমে তরমুজের বেচা-বিক্রি বেড়েছে প্রায় তিনগুন বলেও জানান তিনি।


এদিকে নগরীর বিভিন্ন কনফেকশনারীর ও দোকান ও ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, দাবদাহের কারণে সেসব দোকানে বিভিন্ন ব্যান্ডের কোল্ডড্রিংস্ ও আইসক্রিম মজুদ করা আছে এবং এগুলোর চাহিদাও বেড়েছে প্রচুর। বিশেষ করে তরুণদের এসব কিনতে দেখা গেছে বেশী ।
নগরীর বিস্কুট বিপনীর কর্মচারী সোহেল রানা সিল্কসিটিনিউজকে জানান, তীব্র গরমের কারণে মূলত ঠান্ডা পানীয় ও আইসক্রিম বেশী বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফ্রিজের ঠান্ডা পানির (মিনারেল ওয়াটার) চাহিদা রয়েছে।


নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আইসক্রিম বিক্রেতাদেরও ব্যবসা বেড়েছে বলে জানান আইসক্রিম বিক্রেতা হাফিজ উদ্দিন।
এদিকে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষ দেবল কুমার মৈত্র সিল্কসিটি নিউজকে জানান, বিকেল তিনটায় রাজশাহীর আবহাওয়া গিয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে দুপুর দুইটায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
স/আর