রাজশাহীতে ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যূ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে ডাক্তারের অবহেলার কারণে এক নবকজাতকের মৃত্যূ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর একটার দিকে নগরীর লক্ষীপুর সংলগ্ন ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি শিশুটিকে আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে সেখানে পৌছে পুলিশ।

জানা যায়, আজ শুক্রবার সকালে নগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার খালিদ হাসান নামক এক ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে ইসলামী মেডিকেল কলেজ হাসাপালে ভর্তি হন। দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের সহকারী অধ্যাপক শাহীনা আক্তার বাবলী সকল চিকিৎসার কাগজ দেখতে চান। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত মতে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সিজার করেন। আধা ঘন্টা পর এসে রোগীর স্বজনদের জানানো হয় নবজাতকের অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া লাগবে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নবজাতকের মাথায় ক্ষত চিহ্ন দেখতে পান পিতা। তার দাবি সন্তানকে আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে।

ওই নবজাতকের পিতা খালিদ হাসান সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, সকল কাগজ দেখে ডাক্তার জানান বাচ্চা ভালো আছে তবে আরও ৬ দিন বাকি আছে। ডাক্তার কথা শুনে আমরা সিজারের সিদ্ধান্ত নিই। সিজার শুরুর আধাঘন্টা পর অক্সিজেন লাগিয়ে বাইরে নিয়ে এসে গুরুতর অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে ভর্তির কথা বলেন। আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানান আমরা মরা শিশু নিয়ে গেছি।

তিনি আরও বলেন, বাচ্চাটির শরীরে রক্ত ছিল। আমরা ভেবে ছিলাম গর্ভের রক্ত। কিন্তু পরে ভালো করে খেয়াল করে দেখি তার মাথায় ক্ষতক চিহ্ন। কেচির আঘাতে বাচ্চার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বাচ্চাটা অপারেশনের সময়েই মারা গেছে।

এদিকে সহকারী অধ্যাপক শাহীনা আক্তার বাবলী বলেন, গর্ভে পানি শুন্য থাকায় আমরা পরিবারের কাছে সিদ্ধান্ত জানতে চাই। তারা সিজার করতে বললে আমরা সিজারে নিয়ে যায়। বাচ্চাটা অনেক দুর্বল ছিল। বাচ্চা জন্মের পর হাতে নিলে যে অনুভূতি সেটা বোঝা যাচ্ছিল না। বাচ্চাটা বের করতে গিয়ে কেচি দিয়ে সামান্য আঘাত লাগে। সেটা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়। বাচ্চাটি যেহেতু খুবই দূর্বল ছিল তাকে হাসপাতলে ভর্তি করা জরুরী ছিল। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয় আর আমরা বাচ্চার মাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।

ইসলামী হাসপাতালের সুপারিটেন্ডেন্ট মাসুদ আলী সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, পরিবার থেকে যে অভিযোগ করেছে নবজাতক টিকে মেরে ফেলা হয়েছে তা একেবারে ভিত্তিহীন। কোন ডাক্তার চাননা একটা জীবন নস্ট করতে। বিষয়টি ভালো ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

নবজাতকের নানা মতিবুল ইসলাম বুলু জানান, স্বজনদের সাথে কথা বলে আমরা মামলার সিদ্ধান্ত নিবো।

জানতে চাইলে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে পরিবার থেকে কেউ কোন অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/শ