রাজশাহীতে জনসম্মুক্ষে ধূমপানকারী এই কিশোররা কারা?

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মহানগরীর তেরোখাদিয়া স্টেডিয়ামের সামনে চলছিল মোটরসাইকেলের থ্রিলিং শো। এ শো প্রদর্শনের সময় দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলো কিছু কিশোর।

সেখানে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে সাধারন মানুষের ভিড়েই একসময় তারা ইলেক্ট্রিক সিগারেট পান করতে থাকে। এ নিয়ে অন্য দর্শকদের মাঝে ক্ষোভ বিস্তার করে।

শত শত দর্শকদের সামনে বখাটে এই কিশোররা সিগারোট পান করে মুখ উঁচু করে জনসাধারনের ভিড়েই ধোয়া ছাড়তে থাকে।

এনিয়ে উপস্থিতিদের অভিযোগ, সরকার আইন করেছে প্রকাশ্যে ও পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে জরিমানার। তরপরও কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেনই প্রকাশ্যে তারা ধূমপান করে। ছোট বাচ্চা বা বয়স্কদেরও স্বাস্থ্য বিষয়েও কোন তোয়াক্কা নেই তাদের।

জানা গেছে, এই বখাটে কিশোররা মোটরসাইকেল নিয়ে রাজশাহী শহরও দাঁপিয়ে বেড়ায়। শহরের জনবহুল রাস্তায় তাদের দূত গতিতে হর্ণ বাজিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে বেড়ায়। এদের কাউকে কাউকে গায়ে ইন্সফিং রাইডার লিখা ট্রাউজার পরে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে, রাজশাহীতে ক্রমশঃ ভয়ংকর হয়ে উঠেছে চলেছে ইলেকট্রিক সিগারেট। মানুষের মাঝে নানান বিভ্রান্তিও্ ছড়াচ্ছে এই ইলেকট্রিক সিগারেট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ইলেকট্রিক সিগারেটে কোন ক্ষতি নেই এবং স্বাস্থ্যর প্রতিও কোনো ধরণের ঝুঁকি নেই।

কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রচস্টার স্কুল অফ মেডিসিন ও ডেনটিস্ট্রির তৈরি করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিগারেটের মতো ইলেকট্রিক সিগারেট দাঁত ও মাড়ির জন্য তামাক জাতীয় সিগারেট বা মাদকের মতো একইরকম ক্ষতিকর।

আরো জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দেশগুলির যুবক সম্প্রদায় এই নেশা জাতীয় ডিভাইসে আক্রান্ত ও নির্ভরশীল। তবে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজশাহীতেও।

এ ইলেকট্রিক সিগারেট প্রতিক্রিয়া এমন যে যৌবনেই আক্রান্ত হচ্ছে ক্যান্সার নামক মরণব্যাধিতে। এতে  বাষ্প তৈরি হয়, তাতে মানব দেহের কোষে প্রদাহ তৈরি হয়।

প্রথাগত কাগজে মোড়ানো তামাক জাতীয় সিগারেট বা অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্যের বিকল্প হিসেবে রাজশাহী অনেক যুবককেই এখন এই ইলেকট্রিক সিগারেট নিতে দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অজুহাত থাকে সিগারেট বা মাদকাসক্তি ছাড়ার ইহা একটি উপকরণ বলেও চালিয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়িরা।

স/অ