রাজশাহীতে চায়ের কাপে করোনা ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে করোনা ভাইরাস। করোনা প্রতিরোধে চলছে আলোচনা-সমালোচনা সবক্ষানে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তর থেকে শুরু করে গ্রামের ছোট্ট চায়ের দোকানেও এখন আলোচনার মূল ইস্যু করোনা আতঙ্ক। মোড়ের চায়ের দোকানটিতেও ঝড় উঠে করোনা নিয়ে। সন্ধ্যা হলেই করোনা ইস্যুতে চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন অনেকেই। জমজমাট থাকছে নগরীর চা-স্টলগুলো।

শুধু চায়ের স্টলেই নয়। রাস্তায় বের হলে দেখা মিলছে বিভিন্ন সামাজি সংগঠনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। মাস্কগুলো সাধারণ মানুষেদের পড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মাস্কগুলো কোন ধরনের প্যাকেজিংর ব্যবস্থা নেই। এছাড়া যারা মাস্কগুলো পড়িয়ে দিচ্ছেন তারাই বা কতটা পরিস্কার এনিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

এছাড়া রাজশাহী শহরে অবিরাম চলছে অটোরিক্স। অটোরিক্সাগুলো মানুষ পাশ-পাশি বসছেন। যদিও স্বাস্থ্য সংস্থা বলছেন, দ্রুত্ব বজায় রেখে চলা-ফেরা করতে হবে। কিন্তু কেউ মানছেন না। এর ফেলে করোনা আতঙ্কের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কেউ কেউ বলছেন, কিছু দিনের জন্য হলেও লকডাউন করা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। এমন সিদ্ধান্তে দেড়িতে হলে আরো সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে সবাইকে।

রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি চায়ের স্টলে ঘটছে জনসমাগম। চলছে আলোচনা-সমালোচনা। করোনা আতঙ্কে নিজের প্রস্তুতিরও জানান দিচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে শুধু মাস্ক ব্যবহার করে নিজেকে নিরাপদ মনে করছেন অনেকেই। গল্পের ফাঁকে যেখানে সেখানে থুথু ফেলাসহ নাকে মুখেও হাত দিচ্ছেন। এছাড়া অনেক দোকানেই একই গ্লাসে পানি পান করছেন সবাই।

নগরীতে চায়ের দোকানি খান মো. মনিরুল বলেন, ভাই আমরা সামান্য চা বিক্রেতা। এই চা বিক্রি করেই সংসার চলে। এটা যদি বন্ধ করে দিই না খেয়ে থাকতে হবে। আর এখন এমনিতেই নগরী ফাঁকা। ক্রেতাও কম। ব্যবসা বলতে সন্ধ্যার পর যা একটু হচ্ছে। আর নাকে মুখে হাত দেয়া বা থুথু ফেলা এটা অনেকেই করে থাকে। এখন তারা যদি সচেতন না হয় তাহলে আমরা কী করতে পারি?

যদিও গতকাল শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, সকলকে বুঝাতে হবে, গ্রামের চৌকিদার, দফাদার ও বিভিন্ন এনজিওকে কাজে লাগিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রত্যেক অফিসের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার টেবিল রাখতে হবে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে হাত ধোয়া অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নাপিতদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।