রাজশাহীতে গোপনে ঈদের কেনাকাটা, ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবুও আবার নির্দেশ অমান্য করে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে গেলে জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে মহানগরীর সাহেববাজার এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় হাতে শপিং ব্যাগ দেখে সকালে সাহেববাজার এলাকায় এক তরুণের পথ আটকায় পুলিশ। এ সময় তার ব্যাগে পাওয়া যায় একটি নতুন প্যান্ট। ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমান ওই তরুণের কাছে জানতে চান কোন দোকান থেকে কিনে আনলেন।

কিন্তু ওই তরুণ বলেন, স্যার, দোকানটা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি ঠিকানা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তাই তাকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

একই সময় সাহেববাজার এলাকায় দুই নারীকে হেঁটে যেতে দেখে তাদের আটকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমানের কাছে স্বীকার করেন তারা ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। কিন্তু এটি তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে বলে মন্তব্য করেন। তখন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ৩০০ করে ৬০০ টাকা জরিমানা করেন।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবারও (২১ মে) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমান আজিজ নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় অভিযান চালান। এসময় আরডিএ মার্কেটের ৩ জন ব্যবসায়ী দোকান খোলেন। তাদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবারও (১৮ মে) এই মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

যারা আরডিএ মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন তাদেরও এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা না দিলে এক ঘণ্টা মার্কেটের সামনের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

তবে জানা গেছে,  নিউমার্কেটের ভেতর থেকে ব্যবসায়ীদের মালামাল এনে দিতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা নিউমার্কেটের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। কেউ সেদিকে গেলে জানতে চাইছেন কী লাগবে। এরপর দোকান থেকে এনে দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, এ করোনার ভয়বহতায় করোনার কারণে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। এরপর সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন রাজশাহীর দোকানীরা।

এ অবস্থায় গত সোমবার (১৮ মে) জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় ওষুধ, জরুরি সেবা, খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন।