রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হবে-আশাবাদী ফখরুল

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ভয়াবহ দুঃসময় অতিক্রম করছে। চর্তুদিকে অনেকে অন্ধকার দেখেন, ফ্রাস্ট্রেশন দেখেন। আমি তাতে বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এই অন্ধকার থেকে আলোর পথে পৌঁছাতে পারব। আমি অত্যন্ত আশাবাদী। আমরা পারব। আমি বিশ্বাস করি, উই শ্যাল ওভারকাম।’

গতকাল সোমবার (৩০ নভেম্বর) রাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যিনি এখন অন্যায়ভাবে কারাগারে রয়েছেন, বন্দি হয়ে রয়েছেন। আমাদের ৩৫ লক্ষ মানুষ মিথ্যা মামলায় আসামী হয়ে আছে। আমাদের শত শত কর্মী, আমাদের ভাই, আমাদের সহযোগীদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তাদেরকে গুম করা হয়েছে। অনেক পরিবার আজকে অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় জীবন-যাপন করছে। শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের মানুষ ভয়াবহ একটা অবস্থার মধ্যে, দুঃসময়ের মধ্যে কাটাচ্ছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

মোস্তফা আজিজ সুমন ও কানিতা‘র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন সময়ের কার্য্ক্রম তুলে ধরেন। এই ভার্চুয়াল মেলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জোবায়দা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিকে যেমন বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে এগোতে হবে। অন্যদিকে ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক চর্চার মধ্য দি্য়ে, আমাদেরকে গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। মুক্ত করতে হবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে। আমরা কিছুদিন পরে এই পৃথিবীতে থাকব না। কিন্তু তোমরা যারা আজকে প্রজেক্ট নিয়ে এসে্ছ তোমাদের সংখ্যা কম নয়। আমি আশান্বিত হয়েছি তোমাদের এই কম বয়সে কী চমৎকার রাষ্ট্র নিয়ে কত গভীরে চিন্তা করছ। এরা আমাদের ছেলে, এরা আমাদের ভবিষ্যত। তারা আমাদেরকে একটা সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দেবে।

যুব সমাজকে রাজনৈতিক সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দে্শে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি না থাকে তাহলে আমরা যতই বলি না কেন, টেকসই উন্নয়ন বা প্রযুক্তির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন সেটা কখনোই সম্ভব হবে না। আমার যেটা মনে হয়, আজকে বাংলাদেশের বড় সমস্যা যারা তরুন, যারা যুবক তাদের মধ্যে রাজনৈতিক যে সচেতনতা এটা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমি মনে করি যে, এটার একটা বেশি রকমের ক্যাম্পেইন করা দরকার। আমাদের যারা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বেশি করে আনা দরকার।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার ‘গ’ বিভাগের এই গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠান হয়। এতে মাসরুর চৌধুরী, রকীন হাসান প্রত্যায়, নাহিদ চৌধুরী, সাবাব তাসরিফ জামান, আবদুল মান্নান, সোহাগ সরকার ও সুরাইয়া আখতার মৌসুমী, জান্নাতুল নওরীন উর্মি প্রমূখ প্রতিযোগীরা তাদের প্রণীত মডেল প্রকল্পের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। বিচারক প্যানেলের ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া, ড. হাসানুজ্জামান, ড. ফজলুল হক, ড. এসএম আবদুর রাজ্জাক, ড. রেজাউল করীম প্রতিযোগীদের কা্ছে তাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

সূত্র: কালের কণ্ঠ