রাজধানীতে পরিত্যক্ত বাড়ি ৬ হাজার ৪০৯টি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বর্তমানে রাজধানীতে ৬ হাজার ৪০৯টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। পরিত্যক্ত বাড়িগুলো শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং চাহিদা পত্রের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মধ্যে থেকে বরাদ্দকৃত বাড়ি হতে কিছু বাড়ি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বরাদ্দ প্রাপক ও চাহিদাপত্র হোল্ডারদের অনুকূলে বিক্রয় করা হয়েছে। কিছু বাড়ি মালিকদের অনুকূলে অবমুক্ত করা হয়েছে।

সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১০ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে ৩২১টি ঝূঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়েছিল। যদিও এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ ও ভেঙ্গে ফেলার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের।

গৃহায়ণ মন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালে ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পুনরায় জরিপ করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে মালিক কর্তৃক ২৫টি ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ২৮টি ভবন নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে ২৫৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিদ্যমান আছে। যার মধ্যে ৩৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং ২২০টি বাহ্যিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। উক্ত ভবনগুলি চূড়ান্তভাবে ঝুঁকিপূর্ণ নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে সেগুলো ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ২০০৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন, পাঁচ, সাড়ে সাত ও ১০ কাঠা আয়তনের মোট ২৪ হাজার ৬৯৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পূর্বাচলে কম/বেশী ১৫ হাজার জনকে চূড়ান্তভাবে প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় অবশিষ্ট প্লট বরাদ্দ গ্রহীতাদের বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে অবশিষ্ট বরাদ্দ গ্রহিতাদের অনুকূলে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।