রাকসু নির্বাচন: গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে দশটি সংগঠন, আগামী সপ্তাহেই সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংলাপে বসার জন্য গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দশটি ছাত্র সংগঠনের কাগজপত্র জমা পড়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপে বসার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল অরাজনৈতিক দল যারা তাদের দলের গঠনতন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়নি তাদেরকেও সংলাপে ডাকা হবে। এই সংলাপেই উঠে আসবে রাকসু নিয়ে প্রতিটি সংগঠনের চাওয়া-পাওয়া।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রাকসু নির্বাচন সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাকসু সংলাপ কমিটির সভা শেষে অধ্যাপক লুৎফর রহমান ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছে তাদের নাম, নিবন্ধনপত্র ও গঠনতন্ত্র আহ্বান করেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব কাগজপত্র সংগ্রহ শেষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কস),সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (লেলিন) বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন তাদের গঠনতন্ত্র ও কার্যকরী কমিটির তালিকা জমা দিয়েছে।

রাকসু সংলাপ কমিটি সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে যে সকল নিবন্ধিত ছাত্র সংগঠন তাদেও কাগজপত্র জমা দিয়েছে তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনায় বসা হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যারা কাগজপত্র জমা দেয়নি পরবর্তীতে তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় সংলাপ কমিটির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করতে হবে।

সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টও অধ্যাপক লুৎফর রহমান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘দশটি দলের কাগজপত্র পেয়েছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকেই সংগঠনগুলোকে সংলাপের জন্য ডাকা হবে।’

এককভাবে কোন শিক্ষার্থীর নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কোন শিক্ষার্থী যদি এককভাবে নির্বাচন করতে চায় সেই সুযোগও রয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগের অনুমোদন লাগবে। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীকে তার বিভাগের সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি রাকসু সংলাপ কমিটির কাছে জমা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। তবে যদি বিভাগ থেকে সেই শিক্ষার্থীকে অযোগ্য কিংবা অছাত্র ঘোষণা করে তাহলে সে আর প্রার্থী হতে পারবে না।’

স/অ