রমজানে রাবির হলে খাবারের দাম বাড়লেও বাড়েনি মান!

গোলাম রববিল, রাবি:

পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর ডাইনিং ও ক্যান্টিগুলোতে খাবারের দাম বৃদ্ধি করা হলেও বাড়ানো হয়নি মান। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ একই মানের খাবারের জন্য সাধারণ সময়ের তুলনায় দ্বিগুন টাকা গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে হল প্রশাসন বলছে, দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে খাবারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল রমজান মাস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রতিটি হলে খাবারের দাম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি হলের প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে রাতের খাবারের দাম মাছ কিংবা ডিম ভাজি, আলু ভাজি ও ঘনডাইলসহ ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ও সেহরিতে রান্না ডিম বা মুরগী কিংবা মাছ, ঘন ডাইল ও সবজিসহ ৩০ টাকা করা হয়েছে। রমজানের আগে শিক্ষার্থীদের ডাইনিংয়ে দু’বেলা খেতে খরচ হতো ৪২ টাকা কিন্তু রমজান মাসে খরচ হচ্ছে ৫৫ টাকা। পূর্বের তুলনায় খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ টাকা।

খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় শেরে-ই-বাংলা একে ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাজিব হোসাইন বলেন, হলের খাবারের মান বৃদ্ধির নামে খাবারের দাম ১৮ টাকা থেকে ৩০ টাকা করা হয়েছে। অথচ সেহরিতে প্রথমে মাছ-মাংশের আকার একটু বড় থাকে। পরে আবার সেই ১৮ টাকারই মাছ-মাংশ খেতে দেওয়া হয়।এদিকে খাবারের মান বৃদ্ধি করলে খাবারের দাম বেশি দিতেও রাজি শিক্ষার্থীরা। শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, হলগুলোতে ভালো মানের খাবার পাওয়া গেলে সারাদিন রোজা থেকে বেশি দামে কিনে খেতে সমস্যা নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে হলগুলোতে খাবারের মান আগে যা ছিলো একই আছে। শুধু মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।’

মেয়েদের আবাসিক হলগুলোর খাবারের দাম বরাবরই ছেলেদের হলের তুলনায় একটু বেশি। তবুও তারা মানসম্মত খাবার পেলে অতিরিক্ত দাম দিতে রাজি আছে। রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী পারভিন বলেন, রমজানের আগে দুপুরের খাবারের দাম ২৫ ও রাতের খাবারের দাম ২০ টাকা করে নেওয়া হতো। এখন রাতে ২৫ ও সেহরিতে ৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। মোট ১০ টাকা দাম বেড়েছে। কিন্তু খাবারের মান আগের তুলনায় খুব একটা বাড়ে নাই। শুধু পাতলা ডালের জায়গায় এখন একটু ঘন ডাল দেওয়া হচ্ছে। আর তরকারির ঝোল একটু ঘন হয়েছে।

হলের ডাইনিংয়ের খাবারের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রমজান মাসে শিক্ষার্থীদের একটু ভালো মানের খাবার ও ব্যবস্থা করতে হলের ডাইনিংয়ের খাবারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। পণ্যদ্রব্যের উর্দ্ধগতির সাথে সমন্বয় রাখতে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে।’ খাবারের মান নিয়ে তিনি বলেন শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।

জি/আর