রমজানে ফের ভ্যাপসা গরম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র রমজানের শুরু হয়েছিল মৃদু বাতাস আর বৃষ্টিপাত দিয়ে। এতে জনজীবনে অনেকটা স্বস্তি নেমে আসে। রোজাদারদের উপর যেন রহমত নেমে আসে। কিন্তু তিন রমজান যেতে না যেতেই আবহাওয়া আবারো আগের জায়গায় ফিরে আসে। বন্ধ হয়ে যায় বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। আর এতে দূর্ভোগ নেমে আসে নরগবাসির।

 
গত দুই দিন থেকে রাজশাহীতে মেঘের কোন আলোড়ন লক্ষ্য করা যায়নি। মঙ্গলবার আকাশে সামান্য মেঘ থাকলেও বুধবারের তা ছিল পরিস্কার। দিনের শুরু থেকেই গরমের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ভ্যাপসা গরমের এই ধারা আজ বৃহস্পতিবারেও লক্ষ্য করা যায়। বেলা গড়ালে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। এতে ক্লান্ত রোজদার,ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ ক্রমেই অতিষ্ট হয়ে পড়ে।

 
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাজশাহীতে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ২৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৬৭ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা পর্যন্ত সর্বচ্চো তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস  সর্বনিন্ম ২৬.৮। বাতাসের আদ্রতা সকাল ৬ টায় ৯৭ শতাংশ যা বেলা ১২ টায় দাঁড়ায় ৬৬ শতাংশ।


এদিকে ভ্যাপসা গরমের কারণে সমস্যায় পড়েছেন শ্রমজীবি মানুষ। বিশেষ করে রোজা রেখে খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়েছে। আর পথচারীদের অবস্থাও বর্ননাতীত।

 
নগরীর রেলগেইট এলাকায় অবস্থানরত গোরহাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা  আতাউর রহমান বলেন, আজকের গরমের মাত্রা তুলনামুলক  বেশি মনে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে।

 
রিকশা চালক জাফর বলেন, সকাল থেকেই গরম পড়ছে। বাতাসও নাই। ভ্যাপসা গরমের কারণে রোজা থেকে রিকশা চালাতে গিয়ে অল্পতেই ক্লান্তি চলে আসছে। রমজানে বাড়তি আয় করার ইচ্ছা ইচ্ছাই থেকে যাচ্ছে। একটু পর পর বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।
তবে আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আশরাফুল আলম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন,আগামি সপ্তাহে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর সামনে বর্ষাকাল আসার কারণে বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে গরম কিছুটা হলেও কমে যাবে।

স/শ