রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দের সঙ্গে সাহিত্যের ইতিহাসে মমতা-ও!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: আধুনিক বাংলা কবিতার ‘হল অফ ফেম’এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সৌজন্যে শহরের একটি প্রকাশনা সংস্থা।

রমানাথ মজুমদার স্ট্রিটের প্রকাশনা সংস্থা ‘প্রজ্ঞাবিকাশ’ রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ইতিহাস দুই খণ্ডে প্রকাশ করেছে। লেখক তপনকুমার চট্টোপাধ্যায় পুরুলিয়ার আনন্দমার্গ কলেজের বাংলার বিভাগীয় প্রধান। ওই বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডে আধুনিক বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবিদের মধ্যে জায়গা দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, জয় গোস্বামীর সঙ্গেই রয়েছেন তিনি।

মমতার কবি পরিচিতি হিসাবে লেখা হয়েছে— ‘মমতার বড় পরিচয়, তিনি রাজনীতিক, সমাজসেবী। এমন ব্যস্ত নেত্রী সময় পেলেই অন্তরের টানে সাহিত্যের জন্য কলম ধরেন। …।’ কী ধরনের কবিতা লেখেন মুখ্যমন্ত্রী? তপন লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের জীবন-সংগ্রাম, ঘাম-রক্ত ছায়া ছড়িয়ে থেকেছে মমতার কবিতায়। ভাষা সহজ, সরল।…’ এরপর মমতার লেখা বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ এবং গদ্যের বইয়ের প্রকাশনার বছর-সহ নামোল্লেখ করা হয়েছে। সংক্ষেপে ওই বইগুলি সম্পর্কে পড়ুয়াদের প্রাথমিক ধারণাও দিয়েছেন তপন।

ওই অধ্যাপক সোমবার বলেন, ‘‘আমি কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। মুখ্যমন্ত্রীর কবিতা আমার ভাল লাগে কি না, সেই প্রশ্নও এখানে অবান্তর। সাহিত্যের ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে আমাকে তথ্যনিষ্ঠ হতে হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘মমতার মোট ৬টি কাব্যগ্রন্থ এবং বেশ কিছু ছোটগল্প এবং গদ্য রচনা এখনও পর্যন্ত গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। তাই তাঁর নাম দিয়েছি। আর যদি আমরা বই বিক্রির অঙ্কের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইয়ের কাটতি সবচেয়ে বেশি!’’ প্রকাশনা সংস্থার মালিক বিকাশ সাধুখাঁ বলেন, ‘‘দিদি গুরুত্বপূর্ণ কবি। তাঁর নাম তো সাহিত্যের ইতিহাসে অবশ্যই থাকবে।’’

বইয়ে মমতার ঠিক আগেই রয়েছে কবি জয় গোস্বামীর নাম। তিনি এদিন জানান, বিষয়টি নিয়ে বইটির সম্পাদককেই জিজ্ঞাসা করা উচিত। তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, ‘‘এতে সমস্যার কিছু দেখছি না।’’ কবি সুবোধ সরকারের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতিক হিসাবে ইতিমধ্যেই ইতিহাসে ঢুকে গিয়েছেন। তাঁর বইগুলি অসম্ভব জনপ্রিয়। সেই উচ্চারণে প্রান্তিক মানুষের ভাষ্য ফুটে ওঠে। তবে সংশ্লিষ্ট বইটি আমি এখনও দেখিনি।’’ সূত্র: এবেলা