রক্তাক্ত ঢাকার ছবি দিয়ে ফেসবুকে ২ মেয়রের সমালোচনা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
কোরবানির ঈদ নিয়ে রাজধানী ঢাকার দুই মেয়র রাস্তার ওপর হাট বসতে না দেওয়া, নির্দিষ্ট এলাকায় জবাই, বর্জ্য পরিস্কারসহ নানা কথা বললেও তা তেমন একটা বাস্তবায়ন হয়নি। কোরবানির পর রক্তাক্ত ঢাকার ছবিই বলে দিচ্ছে সব। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও ঢাকার দুই মেয়রের  তা নিয়ে আলাদা কোনও প্রস্তুতি না থাকায়, রক্তাক্ত পানিতে সয়লাব হয়ে যায় অলিগলি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েছেন ঢাকার দুই মেয়র। অনেকে বিভিন্ন সড়কে জমে থাকা রক্তাক্ত পানির ছবি পোস্ট দিয়ে মেয়রদের সমালোচনা করেন। রাজধানীর ড্রেনেজগুলো ময়লা আর আবর্জনায় আটকে থাকায় বৃষ্টির পানি নামছিল না সহসাই। রক্তাক্ত পানি জমে যায় যেখানে সেখানে। এজন্য সিটি করপোরেশেনের অব্যবস্থাপনাকেই দোষারোপ করেছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, আগে থেকেই বিষয়টি সম্পর্কে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নিলে এমন হতো না।

সরেজমিনে পুরনো ঢাকার বকশি বাজার, হোসনি দালাল, যাত্রাবাড়ী, কাঁঠালবাগান, শান্তিনগর, শান্তিবাগ, মিরপুরের কোনও কোনও সড়ক, মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থানের সড়কে রক্তাক্ত পানি দেখা গেছে।

৪ফেসবুকে রক্ত পানিতে ভেসে যাওয়া পথের ছবি শেয়ার করে সাংবাদিক হারুন উর রশীদ লিখেছেন, ‘রক্ত বৃষ্টি নয়, রক্তে ভাসছে রাজপথ। কিন্তু ভয়ের কোন কারণ নেই। তবে দূষণ আর রোগের জন্য প্রস্তুত  হোন। সিটি কর্পোরেশন কী জবাব দেবে?’

প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা বলেছেন, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের কী অপূর্ব দৃষ্টান্ত!’

খান আসাদুজ্জামান মাসুম লিখেছেন, ‘রক্তের বন্যা বইছে শহরে.. সিটি কর্পোরেশন কোথায়।’

 যদিও এ সম্পর্কে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বলেন, ‘শান্তিনগরের জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিনের। সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। ঈদের দিন দ্রুত সমস্যা সমাধানে মানিকনগরে ওয়াসার পাম্প চালু করা হয়েছে। আশা করি শিগগিরেই পানি নেমে যাবে।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন