রকেটের ভয়ে ঘুম হারাম ইসরায়েলে থাকা ভারতীয় নার্সদের

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান লড়াই যেরকম তীব্র হয়ে উঠেছে তাতে খুব শিগগিরই এই সংঘাত একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ রূপ নিতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজায় মুহূর্মুহূ বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

শনিবার (১৫ মে) গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে ইজ়রায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয়েছে আট শিশু ও দুই নারীর। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আল জালা টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবন। সেখানে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অফিস ছিল। ইসরায়েলের দাবি, জঙ্গি সংগঠন হামাসের দপ্তর ছিল আল জালা টাওয়ারে।

আল জালা টাওয়ারের মালিক জওয়াদ মেহেদি জানান, ইসরায়েলের একজন সেনা কর্মকর্তা তাঁকে ফোন করে এক ঘণ্টার মধ্যে ভবন খালি করে দিতে বলে। দ্রুত সকলকে বের করে দেওয়া হয়। তার পরেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুঁড়িয়ে যায় বহুতল ভবনটি।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত ১০ মে থেকে শনিবার পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মোট ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৯ জনই শিশু। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৫০ জন। অপরদিকে হামাসের রকেট হামলায় মৃত্যু হয়েছে নয়জন ইসরায়েলি। এর মধ্যে একজন ভারতীয় নারী ও একজন ইসরায়েলি সেনা সদস্য রয়েছেন।

গত সোমবার থেকে গাজায় আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবসহ বিভিন্ন এলাকায় ২ হাজারের বেশি রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনিরা।

হামাসের রকেটের ভয়ে ইসরায়েলে কর্মরত ভারতীয় নার্সদের বিনিদ্র রজনী কাটছে। এরই মধ্যে হামাসের ছোড়া রকেটের আঘাতে ইসরায়েলের আশকালন শহরে মারা গেছেন কেরালার নার্স সৌম্যা সন্তোষ। সেই ঘটনা তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের। যুদ্ধের আবহে জীবন ও জীবিকা দুই-ই হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ইসরায়েলে প্রায় ১৪ হাজার ভারতীয় নাগরিক বসবাস করছেন। তাঁদের মধ্যে ১৩ হাজার ২০০ জনই নার্স।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ