যেসব অভিযোগে শরীফ উদ্দীনকে চাকরিচ্যুত করে দুদক

সংস্থার অভ্যন্তরীণ তদন্তের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দীনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরীফ উদ্দীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, কর্তব্যকর্মে চরম অবহেলা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালা ২০০৮-এর ৫৪(২) ধারায় তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

দুদক বলছে, শরীফের এসব কর্মকাণ্ডে কমিশনের ও কমিশনে কর্মরত সবার ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে এবং কমিশনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়।

শরীফের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, তিনি ২০২১ সালে দুদকের চট্টগ্রাম-২ অফিসে কর্মরত থাকাকালে আদালতের অনুমতি ছাড়াই ‘সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড’ কক্সবাজার শাখার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত করেন। তাঁর এই পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করে বেলায়েত হোসেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে বলেছেন, “কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত কোনো অ্যাকাউন্টের অর্থ ‘নো ডেবিট’ করার আদেশদানের ক্ষমতা তদন্তকারী কর্মকর্তার নেই। ” তাঁর এই কাজ ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্তব্যে অবহেলা, অসদাচরণ ও অদক্ষতার পর্যায়ে পড়ে।

২০২০ সালের ১০ মার্চ কক্সবাজার জেলায় র‌্যাবের পরিচালিত অভিযানে জব্দ করা ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকার চালান রাষ্ট্রীয় কোষাগার অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা না দিয়ে তিনি দীর্ঘ সময় নিজের জিম্মায় রাখেন। বিষয়টি প্রকাশিত হলে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের আরো অভিযোগ হলো চট্টগ্রাম জেলা থেকে পটুয়াখালী বদলি করা হলে নির্ধারিত সময়ের এক মাস পরে যোগদানপত্র ই-মেইলে পাঠান। আরো এক মাস পরে সশরীরে কর্মস্থলে যোগ দেন। অর্থাৎ পুরনো কর্মস্থলের নথিপত্র আড়াই মাস পরে হস্তান্তর করেন তিনি, যা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার পৃথক ছয়জন ব্যক্তি শরীফ উদ্দীনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির অভিযোগ দাখিল করেন দুদকে। এতেও দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

তবে এসব বিষয়ে শরীফ উদ্দীনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ