যেভাবে বদলে যাবে আগামীর সফটওয়্যার

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

শুরু থেকেই সফটওয়্যার তৈরির প্রক্রিয়া একই রয়ে গেছে।

প্রয়োজন অনুযায়ী, শুরুতে অ্যালগোরিদম বানিয়ে সেটি ব্যবহার করে তৈরি করতে হতো সফটওয়্যারের কোড। এ ধরনের প্রোগ্রামে ইনপুট, আউটপুট ও সকল লজিক সরাসরি বলে দেয়া থাকে, যাকে বলা হয় এক্সপ্লিসিট প্রোগ্রামিং। আজ সেটি বদলে যাচ্ছে।

স্ট্যান্ডার্ড ইনপুটের বাইরে তথ্য দিলেও এই প্রোগ্রামগুলো তথ্য প্রসেস করে আউটপুট দিতে পারবে। যেখানে আগের দিনের প্রোগামগুলো স্ট্যান্ডার্ডের বাইরে ইনপুট দিলে এরর দেখাতো।

যার জন্য প্রোগ্রামের সিদ্ধান্ত নেয়ার উপায়গুলোও নিজ থেকেই বদলে যাচ্ছে। এগুলোকে বলা হচ্ছে ডিপ বা মেশিন লার্নিং। কম্পিউটারকে সরাসরি কিভাবে কাজ করতে হবে তা না শিখিয়ে কিভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করে কাজ শিখতে হয় সেটাই প্রোগ্রামাররা প্রোগ্রাম করছেন।

অতএব সামনের দিনগুলোতে সফটওয়্যার শিল্পে আসবে বিপ্লব। ডেটা সাইন্স ও প্রোগ্রামিং একত্রিত হতে শুরু করবে। যেহেতু এখনো সম্পূর্ণ নিজ থেকেই কাজ করতে সক্ষম এমন সফটওয়্যার তৈরি সম্ভব নয়, তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও এক্সপ্লিসিট প্রোগ্রামের মধ্যে সংযোগ তৈরি করে তবেই তৈরি করতে হবে সফটওয়্যার। আর তার জন্য প্রয়োজন ডেটা সাইন্সের জ্ঞান।

এখনো এআই তৈরি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায় রয়েছে, কিভাবে তা তৈরি করতে হবে সেটার নেই ধরা বাধা কোনো নিয়ম। ফলে এআই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সবাই টানাটানি করবে, যতদিন পর্যন্ত না এআই টুলচেইন তৈরি হয়। এআই টুলচেইন তৈরি করতে না পারলে ভবিষ্যতে এআইনির্ভর প্রোগ্রাম দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করা সম্ভব হবে না।

তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, যেহেতু এআই নির্ভর সফটওয়্যার নিজ থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাই সকল ব্যবহারকারীকেই জানাতে হবে যে সবসময় একই আউটপুট সফটওয়্যার থেকে নাও পাওয়া যেতে পারে। ইনপুটে যদি বড় পরিবর্তন আসে, এররের বদলে এআই সফটওয়্যার দেবে মানানসই আউটপুট।

সব মিলিয়ে, এআইর কারণে সামনের দিনগুলোর সফটওয়্যার হবে আরও জীবন্ত, যা  আগে কখনো হয়নি।

ফোর্বস অবলম্বনে