স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখনো দেশে বাল্যবিবাহ রয়েছে। বাল্যবিবাহ আমাদের নারীদের অসামতায় ফেলে। কম বয়সে বিয়ে দিলে একজন মেয়ের কর্মক্ষমতা এবং লেখাপড়া নষ্ট করে দেওয়া হয়। এটা একটা সমস্যা আমরা দূর করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে সি সেকশন (সিজারিয়ান) বেশি। এখনো প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিকে গেলে ৭০ শতাংশ গর্ভবতী নারীদের সিজার করা হয়। এটাও আমাদের কমাতে হবে। এর কারণে নারীদের কর্মক্ষমতা খর্ব করা হয়। আমাদের ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি কম, আশানুরূপ নয়। এটা আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল কর্তৃক বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি: নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সাহান আরা বানু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা টিটো মিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লখুস।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, শ্রেষ্ঠ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।