যুদ্ধ লাগছেই, অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিলেন মমতা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এক বছর আগের স্মৃতি ফিরে আসতে চলেছে রাজ্যে। তবে এবার তার চেহারা আরও বড় হতে পারে। গত বছর রামনমবী পালনে মূলত অংশ নিয়েছিল বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। আর তাতে অংশ নিয়েছিল বিজেপি। খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অস্ত্র হাতে রাজপথে নেমেছিলেন। গোটা রাজ্য জুড়েই চলে অস্ত্র মিছিল।

এবার বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার প্রভাবিত হিন্দু সংগঠনের সঙ্গে পাল্লা দিতে তৈরি তৃণমূল কংগ্রেসও। রামনবমীতে ঘাসফুলেরও শোভাযাত্রা বের হবে। ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে দল।

 

গত বছর রামনবমীর মিছিল নিয়ে সব থেকে বড় গোলমাল হয় বীরভূম জেলায়। এবার সেই বীরভূমেই বড় করে রামনবমী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর সেই বীরভূম থেকেই রামনবমী নিয়ে কার্যত যুদ্ধের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে বলেন, কোনও নতুন মিছিলের জন্য অনুমতি দেওয়া যাবে না। প্রশাসনকে কড়া হাতে এর মোকাবিলা করতে বলেন মমতা। একই সঙ্গে বলেন, কেউ যদি কোনও ভাবে ধর্মীয় উস্কানি দেয় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।

রামনবমী নিয়ে মমতা যে যে নির্দেশ দিয়েছেন তা এই রকম—

• অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

• উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মাইক ব্যবহারের জন্য পুলিশের অনুমতি নিতে হবে।

• অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে এমন দু’-একটি সংগঠন আছে বেশি নেই।

• যাদের দশ বছরের রেকর্ড আছে তাদের পুলিশি অনুমতি নিতে হবে। নতুন করে কাউকে অনুমতি দেওয়া হবে না। ঐতিহ্যশালী সংগঠন ছাড়া নতুন করে কাউকে করতে দেওয়া হবে না। অস্ত্র না নিয়ে মিছিল করতে পারে।

• বিকাল ৪টে থেকে মিছিল হবে।

•  ৫০০টাকার মাংস কিনে মন্দিরে ফেলে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে।

• স্থানীয় ছেলেদের কাজে লাগাতে হবে। যারা সঠিক খবর করবে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। এমনকী সাংবাদিকদেরও।

অন্য দিকে, জবার দিতে তৈরি রাজ্য বিজেপিও। সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা নিয়ে বলেন, ‘‘রামনবমী পালনে নতুন তো তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের মিছিলের অনুমতি আটকাতেই পারে পুলিশ। আর বিজেপি কোনও মিছিল বা শোভাযাত্রা করে না। সাধারণ মানুষের মিছিলে সমর্থন জানায় যোগ দেয়। বাধা দিলে সাধারণ মানুষই জবাব দেবে।’’