যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত : রেকর্ড ১৭ লাখ অনুপ্রবেশকারী আটক

গত ১২ মাসে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ১৭ লাখের বেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে- যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশনের তথ্য অনুসারে, তাদের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে মেক্সিকো বা তাদের আদি দেশে পুশব্যাক করা হয়। ১৬০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা যায়।

অনেকে বলছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা ডুবে যাচ্ছে অনেকাংশে তাঁর অভিবাসন নীতির কারণে। এ মাসের শুরুর দিকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ সমীক্ষায় মাত্র ৩৫% মার্কিনি তাঁর পক্ষে।

বাইডেন তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে আরো মানবিক অভিবাসন নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত ডেমোক্র্যাটের ৯ মাস বয়সী রাষ্ট্রপতির বেশির ভাগ সময় সংকটে কেটেছে।

২০২১ অর্থবছরের আটক সংখ্যা, যা সেপ্টেম্বরে শেষ হয়েছিল; ২০০০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। সে বছর, ১৬ লাখেরও বেশি অভিবাসীকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৬০-এর দশকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ প্রথম এ ধরনের অনুপ্রবেশ বন্ধে কড়াকড়ি আরোপ শুরু করার পর থেকে সংখ্যাটি এই প্রথম ১৭ লাখে পৌঁছাল।

ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন বলছে, মহামারি চলাকালীন বিপুলসংখ্যক অভিবাসী সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করে। যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছে তারা মূলত মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদর-এর নাগরিক।। আটককৃতদের মধ্যে বেশি ছিল প্রাপ্তবয়স্ক। এদের সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি (প্রায় ৬৫ শতাংশ)।

একই সময়ে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে যে তারা এক লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি অভিভাবকহীন শিশুর সম্মুখীন হয়েছে- সংখ্যার দিক দিয়ে এটিও একটি রেকর্ড। সেই শিশুদের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার শুক্রবার সরকারি হেফাজতে ছিল।

বিবিসির তদন্তে দেখা গেছে, এ বছরের শুরুতে টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিস ডিটেনশন সেন্টারের যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে সেখানে দেখা গেছে মহামারি কভিডের হানা ও উকুনের উপদ্রব। ক্ষুধার্ত শিশুদের খেতে দেওয়া হয়েছিল আধা-সেদ্ধ মাংস আর বালিঝড় হানা দিয়েছিল মরুভূমির তাঁবু শিবিরে, যেখানে তরুণদের রাখা হচ্ছিল।

এদিকে রিপাবলিকানরা অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্বের পথ তৈরি করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতিকে দোষারোপ করেছে। বাইডেন এই সপ্তাহের শেষে ডেলাওয়্যারে তার বাড়িতে যান, কিন্তু কেন তিনি সীমান্তে যাননি- তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সাংবাদিকদের জানান, জো বাইডেন ২০০৮ সালে যখন বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তখন তিনি সীমান্ত দিয়ে গাড়ি চালিয়েছিলেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ