শুক্রবার , ১৭ জানুয়ারি ২০২০ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

যারা মেয়র হবেন, তাদের কাছে প্রত্যাশা

Paris
জানুয়ারি ১৭, ২০২০ ৬:৪০ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগেও বেশ কয়েকবার সরাসরি ভোটে ঢাকার নগরপিতাসহ কমিশনার তথা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকাবাসী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কতটুকু সেবা লাভে সক্ষম হয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। এমনটি বলা যাবে না যে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলরদের দ্বারা নগরবাসী তেমন উল্লেখযোগ্য সেবা পাননি।

তবে একটি দ্রুতবর্ধনশীল নগরের জন্য যেসব সেবা সিটি কর্পোরেশনের মতো একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্তির সম্ভাবনা ছিল, তার অনেকটাই পাওয়া যায়নি এমনটি বলা যায়।

ঢাকার মেয়রের ক্ষমতা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়ে থাকে, যার বেশিরভাগের মাঝেই রয়েছে তার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা নিয়ে। ঢাকার প্রায় অর্ধশতাধিক সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাকে ঢাকার মেয়রের অধীনে আনার দাবিও রয়েছে। আবার কেউ একটি নগর সরকার গঠন করার কথাও বলছেন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের কথা বিবেচনা করে বলা যায়, একজন মেয়রের বর্তমান যতটুকু ক্ষমতা রয়েছে, তাকে ব্যবহার করে ঢাকাকে অনেকটাই অগ্রসর করা যায় যদি সদিচ্ছার পাশাপাশি দক্ষতা এবং পর্যাপ্ত উদ্যোগ থাকে। ঢাকার পূর্বতন মেয়রদের সদিচ্ছা কতটুকু ছিল সেটা বিবেচনার বিষয়, সদিচ্ছা থাকলেও দক্ষতার অভাব ছিল।

আবার দক্ষতা থাকলেও বেশকিছু ক্ষেত্রে উদ্যোগের অভাব ছিল। সীমাবদ্ধতার কারণে এসব উদ্যোগের শতভাগ সফলতা আসেনি।

ঢাকার পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থাপনা কাক্সিক্ষত মাত্রায় উন্নীত না হলেও প্রতিদিন ভোরে ঢাকার বেশিরভাগ অঞ্চলেই সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজটা বেশ সফলভাবেই করছেন বলা যায়। এজন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সাধুবাদ দিতে হয়।

ঢাকার পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থাপনায় বেশ উন্নতি হয়েছে। যদিও ময়লা-আবর্জনার প্রাথমিক ডাম্পিং ব্যবস্থাটি দৃষ্টিকটু ও পরিবেশ বিনাশক বলে মনে হয়। রাস্তার পাশে রাখা ময়লার কনটেইনারগুলো থেকে আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। দিনের বেলা ময়লা-আবর্জনার গাড়ি চলাচল নগরবাসীকে অসহনীয় দুর্ভোগে ফেলে।

ঢাকার ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় বড় সমস্যা হচ্ছে অধিবাসীদের এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব। বাড়িঘরের পাশে রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখার যে অভ্যাস নগরবাসীর বেশিরভাগেরই রয়েছে, তা থেকে বিরত রাখার জন্য প্রচার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচারণা, এলাকাভিত্তিক উদ্যোগ, ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট সময়ে ও স্থানে ফেলার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার নগর কর্তৃপক্ষের জোরালো কোনো উদ্যোগ নেই।

ঢাকায় প্রায় প্রতিটি এলাকায়ই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মরত রয়েছে। এদের জনগণের মাঝে সচেতনতাবোধ সৃষ্টির কাজে নিয়োজিত করার উদ্যোগ তেমন দেখা যায় না। শোনা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানকে উজ্জীবিত না করে বরং নির্জীব করে রাখার প্রচেষ্টা থাকে স্থানীয় অনেক প্রভাবশালীর মাঝে। নির্বাচিত কাউন্সিলরদের এলাকায় অনেক সামাজিক ভিত্তি থাকলেও তাদের অনেককেই এসব কাজে খুব কমই আগ্রহী দেখা যায়।

বিভিন্ন মার্কেট, বাজার, সরকারি-বেসরকারি অফিস ভবন, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যাপার্টমেন্টগুলো ময়লা-আবর্জনা সৃষ্টির একটা বড় উৎস। সৃষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদের সম্পৃক্ত করলে অনেকটা সুফল পাওয়া যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঢাকার মধ্যস্থলে কারওয়ানবাজারে সৃষ্ট বিপুল পরিমাণের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বাজার সমিতিকেই নেয়া উচিত।

প্রত্যেক দোকানদার তাদের নিজস্ব বর্জ্য নিজেদেরই অপসারণের ব্যবস্থা করবে। এদের জন্য পর্যাপ্ত নির্দেশনা ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকা উচিত। এ সংক্রান্ত আইন থাকলে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তা প্রয়োগের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

মশা মারার কাজটি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে অনেক। এখানে অনেক অস্বচ্ছতা আর দুর্নীতির কথা শোনা যায়। সিটি কর্পোরেশন থেকে যদি মশা মারার সময়সূচি জানানো হয় তাহলে জনগণের কাছে বিষয়টি স্বচ্ছ হতো এবং তারা মশার ওষুধ না ছিটানোর বিষয়ে অভিযোগ দিতে পারত।

সিটি কর্পোরেশন এজন্য একটি কল সেন্টার বা অ্যাপস চালু করতে পারে। আর যেসব কারণে ডেঙ্গু মশার বিস্তার ঘটে, সেসব পরিস্থিতি প্রায় সারা বছরই বিরাজ করে; কিন্তু সিটি কর্পোরেশন কি সারা বছর তৎপর থাকে? এখন অনেক স্থানেই মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম প্রায়ই বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ।

ঢাকায় মশার উৎপাত কি এখন নেই? শীতকালে মাঝে মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেও কি ডেঙ্গুর সম্ভাবনা থাকে না? সিটি কর্পোরেশন থেকে যদি ঘোষণা দেয়া হতো যে, এখন মশা মারার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে; কিন্তু কোনো এলাকায় মশার প্রাদুর্ভাবের অভিযোগ পাওয়া গেলে সেখানে মশা মারা কার্যক্রম চালানো হবে, তাহলে তা জনগণের কাজে আসত। সিটি কর্পোরেশনের মশক নির্মূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কখন কীভাবে অভিযোগ জানানো যাবে বা তাদের পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে তথ্য জনগণকে বিশেষভাবে জানানো প্রয়োজন।

বিভিন্ন ধরনের নির্মাণসামগ্রী, ড্রেন ও স্যুয়ারেজ লাইনের বর্জ্য রাস্তাঘাটে ফেলে রাখতে দেখা যায়। এতে নগরীর পরিবেশ যেমন বিপর্যস্ত হয়, তেমনি মানুষ ও যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটে। নির্মাণসামগ্রী কিংবা স্যুয়ারেজের বর্জ্য ফেলে রাখার দায়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে কিংবা সিটি কর্পোরেশন নিজ উদ্যোগে এসবের অপসারণ করেছে- এমন নজির নেই বললেই চলে।

ঢাকায় সিটি কর্পোরেশনের যেসব নির্মাণকাজ হয়, সেগুলোর শুরু হওয়ার পর কখন শেষ হবে বা নির্মাণকাজের বিবরণ, গুণগত মান, মোট ব্যয় বিষয়ে প্রতিটি কার্যস্থলের পাশে বড় করে প্রদর্শন করা উচিত। নির্মাণকাজের দীর্ঘসূত্রতা জনগণের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনে এবং কাজের গুণগত মান খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাজের মান খারাপ হলে অভিযোগ কোথায় জানাতে হবে তা জনগণ খুব একটা জানেন না।

আবার স্থানীয় পর্যায়ের ওয়ার্ড কাউন্সলিররাও এসব ঠিকাদারের কাজের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে তাদের কাছে অভিযোগ করে কদাচিৎ ফল পাওয়া যায়। মেয়র যদি সরেজমিন তদারকি করার উদাহরণ রাখেন, তাহলে বেশ ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। মেয়র তার একটা ফোন নম্বর, ইমেইল আইডি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। জনগণ যদি তাদের প্রকৃত অভিযোগের বিষয়ে সুরাহা দেখতে পান তাহলে জবাবদিহিতা বাড়বে এবং জনগণের মাঝে আস্থা বাড়বে।

ঢাকা শহরের যানজটের বিষয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ একে অপরের ওপর দোষ দেয়ার চেষ্টা করে অথবা ঢাকার বিশাল জনসংখ্যা, অপর্যাপ্ত ও অপ্রশস্ত সড়ক, অতিরিক্ত যানবাহন, অবৈধ রিকশা, চালকদের ট্রাফিক আইন না মানার মতো বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে। সিটি কর্পোরেশন নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন সংস্থার দুর্বলতাগুলো নিরসনের প্রচেষ্টা নিতে পারে, সংস্থাগুলোর মাঝে সমন্বয়ের উদ্যোগ নিতে পারে।

সিটি কর্পোরেশনের যে কোনো আন্তরিক উদ্যোগ যেমন জনগণের সমর্থন পাবে, তেমনি সরকারও সহযোগিতায় এগিয়ে আসার সুযোগ পাবে। ঢাকার অনেক সড়ক রয়েছে যেগুলোর উপযুক্ত ব্যবহার নেই বা ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। ঢাকার সাত রাস্তার মোড় থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত রাস্তাটি ট্রাকস্ট্যান্ড বানিয়ে দখল করে রাখা হয়েছিল।

প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক নিজ উদ্যোগে এ রাস্তাটি ট্রাকমুক্ত করায় এখন এ রাস্তাটি যানজট নিরসনে সহায়ক হয়েছে। কারওয়ানবাজারের ভেতরের অনেক প্রশস্ত সড়ক রয়েছে; কিন্তু পণ্যবাহী গাড়ি রাস্তাগুলো দখল করে রাখে। রাস্তাগুলো দিয়ে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ যাতায়াত সম্ভব হলে ওই এলাকার যানজট নিরসনে সহায়ক হতো।

এছাড়া অনেক সড়ক রয়েছে যেগুলো নিয়মিত ও সময়মতো মেরামত না করার কারণে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে; সেগুলোর জরুরি মেরামতের ক্ষেত্রে খুব একটা তৎপরতা লক্ষ করা যায় না। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এগুলো দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে মেরামত করা সম্ভব। আর এজন্য প্রয়োজন একটা জবাবদিহিতার ব্যবস্থা। জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য আরও প্রয়োজন মেয়রসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরেজমিন ঢাকার আনাচে-কানাচে নিয়মিত পরিদর্শন।

প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন, সেটিও এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। জনগণের স্বার্থের চেয়ে যখন একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ প্রাধান্য পায়, তখন এ ধরনের উদ্যোগের সফলতার জন্য প্রয়োজন নিরলস প্রচেষ্টা ও শক্ত উদ্যোগ।

ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবয়ব সংরক্ষণ এবং একে আরও সুদৃঢ় ও ব্যাপক ভিত্তিতে সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা রাখা সিটি কর্পোরেশনের একটা অন্যতম কাজ হওয়া উচিত। ঈদের নামাজের আয়োজনের মতো কাজ ছাড়া অন্য কোনো সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কোনো উদ্যোগ লক্ষণীয় নয়। ওয়ার্ডভিত্তিক আধুনিক ও ব্যাপক উদ্দেশ্যে ব্যবহার উপযোগী কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, খেলার মাঠ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করা, নগরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংগঠিত করা ও সম্মাননা প্রদান, পহেলা বৈশাখ, বিজয় দিবস, ঈদ উপলক্ষে নগরবাসীর জন্য রকমারি আয়োজনের ব্যবস্থা করা, জন্ম-মৃত্যু নিয়মিতভাবে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন একটি মানবিক সংগঠনে পরিণত হতে পারে।

ঢাকাবাসীর জন্য সিটি কর্পোরেশনের বিনোদনের তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেই। ইদানীং কিছু খেলার মাঠের উন্নয়নের কাজ করা হলেও এগুলো পর্যাপ্ত নয়। কমিউনিটি সেন্টারগুলো মানসম্মত নয়, যেখানে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। এছাড়া নদী দ্বারা বেষ্টিত ঢাকায় নদী তীরবর্তী একাধিক স্থানে আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে নগরবাসীর বিনোদনের ব্যবস্থা করতে পারে সিটি কর্পোরেশন।

ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা কার কাছে এ প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর থেকে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কার্যক্রম সিটি মেয়র কীভাবে কতটুকু মনিটর করে থাকেন এবং কীভাবে তাদের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন সেই বিষয়টি মেয়ররাই বলতে পারেন। আর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনগণের কাছে অনেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে; কিন্তু উত্তর পাওয়ার স্থান নেই।

সংবাদপত্রেও এ ধরনের প্রচুর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে থাকে। কারও কারও বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ পাওয়া যায়। কাউন্সিলরদের পর্যাপ্ত জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য মেয়ররা তৎপর হলে সিটি কর্পোরেশনের কাক্সিক্ষত সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত হতে পারে।

সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, জনগণের ভোটে মেয়র ও কাউন্সিলররা নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের সঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী যোগাযোগ রাখা। মেয়ররা ওয়ার্ডগুলোতে নিয়মিত বা ঝটিকা পরিদর্শনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখলে এবং ওয়ার্ডের সমস্যাগুলো সরেজমিন প্রত্যক্ষ করলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। মেয়ররা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। নগর ভবনে একটি কল সেন্টার থাকতে পারে অভিযোগ নেয়া এবং সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধানের জন্য।

একটি অ্যাপ চালু করতে পারেন জনগণের সমস্যা জানার জন্য। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যিনি যত স্বচ্ছতার সঙ্গে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন এবং জনগণের সমস্যার সমাধান করবেন, তিনি তত বেশি সফল হবেন। জনগণ এটি জানে যে, একজন মেয়রের সব সমস্যার সমাধানের ক্ষমতা নেই।

মকসুদুজ্জামান লস্কর : অর্থনীতি, বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক লেখক

laskardhaka@yahoo.com

সর্বশেষ - মতামত