যশোরের বন্ধ ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা: নার্স ও ওয়ার্ডবয়রা কাজে রাজি না আসতে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চিকিৎসকদের অনীহায় যশোরের অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে বহির্বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে নার্স ও ওয়ার্ডবয়রা কাজ করতে আসতে রাজি না হওয়ায় বন্ধের উপক্রম হয়েছে ভর্তি রোগীদের সেবা কার্যক্রমও।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ইতোমধ্যে জেলায় বিভিন্ন ধরনের সর্তকতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে সবাইকে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় চিকিসকসহ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট নিশ্চিত না হওয়ায় যশোরের অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে বহির্বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু বড় বড় ক্লিনিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেও বহির্বিভাগের কমে গেছে রোগীর সংখ্যাও।

যশোর কুইন্স হসপিটালের ম্যানেজার মিঠু সাহা বলেন, আমরা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তবে বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের উপস্থিতি কম। যারা আসছেন তাদের কাছে রোগী পাঠানোর আগে জীবাণুনাশক দিয়ে রোগীকে পরিচ্ছন্ন করার পর চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শহরের অধিকাংশ ক্লিনিকে গতকাল থেকেই চিকিৎসকরা বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন না। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমাদেরও সেইপথে যেতে হতে পারে।

যশোরের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি ডা. আতিকুর রহমান জানান, যশোরের ৪০/৪২টি ক্লিনিকে অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিভাগে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়। তবে আজ থেকে বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক রোগী দেখবেন না বলে জানিয়েছেন।

চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিক কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। সেইসঙ্গে নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা কাজ করতে আসতে রাজি হচ্ছে না। ফলে অচিরেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে সব ধরনের সেবা।