যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, প্লাবিত সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে নদীভাঙনও।

শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬১ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)।

অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ১৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)।

নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে জেলার ৫ উপজেলার যমুনা অভ্যন্তরের চরাঞ্চলের গ্রামগুলো। ফসলের মাঠ তলিয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠছে। এদিকে, সিরাজগঞ্জ সদরের কাওয়াকোলা, চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও শাহজাদপুরের খুকনী এবং জালালপুর ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন।

কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে কাওয়াকোলা ইউনিয়নের হাটবয়রা, ছোট কয়রা, দোগাছি ও কাওয়াকোলা গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এসব অঞ্চলের শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, উজানে ভারী বর্ষণের যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরও ৩ দিন পানি বাড়বে ও কালকের মধ্যেই বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। চরাঞ্চলের নিম্নভূমিগুলো প্লাবিত হচ্ছে। তবে তিনদিন পর পানি কমতে পারে।