মোহনপুরে হেলমেট বাহিনীতে তটস্থ স্বতন্ত্রী প্রার্থী, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হেলমেট বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর মোহনপুরের রায়গাটি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকরা। নৌকার মনোনীত প্রার্থী বাবলু হোসেনের গড়ে তোলা হেলমেট বাহিনী স্বতন্ত্র প্রার্থী সুরঞ্জিত সরকারের চশমা প্রতীকে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ তাঁকে পথসভা করতেও দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এসব অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সুরঞ্জিত সরকার।

এসময় তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘স্থানীয় এমপি (পবা-মোহনপুর) আয়েন উদ্দিন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে এরই মধ্যে তিনটি পথসভা করেছেন নৌকার প্রার্থীর পক্ষে।

সুরঞ্জিত সরকার লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, ‘আমার নির্বাচনী প্রচারণাকে বাধাগ্রস্থ করতে ২০-২৫ জন বহিরাগত নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হেলমেট বাহিনী। এই বাহিনী সর্বশেষ গত শুক্রবার বিকেলে রায়ঘাটি ইউনিয়নে খিদিরহাটা বদিরমোড় এলাকায় আমার পথসভা ভয়ভীতি দেখিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে। হেলমেট বাহিনী সেখানে মোটরসাইকেলযোগে উপস্থিত হয়ে মাথায় হেলমেট পরে আর হাতে লাঠি-সোঠা নিয়ে উপস্থিত হয়। এর পর আমাকে মারতে তেড়ে গেলে আমি সেখান পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে নিজেকে রক্ষা করি। তা না হলেও হয়তো তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলত। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই সেেঙ্গ আমার কর্মী-সমর্থকদেরও মারধরসহ মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এই অবস্থায় আমার কর্মী-সমর্থকরা চরম আতঙ্কে রয়েছে।’

এসব নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সুরঞ্জিত সরকার। কিন্তু কোনো প্রতিকার মেলেনি। এই অবস্থায় আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন হলে নৌকার প্রতীক পাওয়া সদ্য স্নাতকোত্তর পাশ করা বাবলু হোসেন বিপুল ভোটে পরাজিত হবেন বলেও দাবি করেন সুরঞ্জিত সরকার।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সুরঞ্জিতের কর্মী জনাব আলী, আওরঙ্গজেব, আবুল হোসেন, সুম্ভনাথসহ অন্যরা দাবি করেন, নৌকার প্রতীক পাওয়া বাবলু হোসেনের বয়স মাত্র ২৫-২৬ বছর। তিনি কখনো আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ বা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু তার বাবা খলিলুর রহমানের টাকার কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা এবং এমপির সুপারিশে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালের পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন খলিলুর রহমান। গতবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবার তার ছেলে বাবলু হোসেনকে নৌকা প্রতীক নিয়ে দিয়েছেন টাকার জোরে। সে কারণে দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে নাই। এতে ভীত হয়ে সরুিঞ্জতের কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার মনোনীত প্রার্থী বাবলু হোসেন ফোন রিসিভ করেননি।