মোহনপুরে প্রতিবন্ধী নারীর ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর মোহনপুরে বাক-প্রতিবন্ধি এক নারীর ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ভাইরালের অভিযোগে ধর্ষকসহ সহযোগিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার প্রতিবন্ধী নারীকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, উপজেলার লালইচ গ্রামে জনৈক নানার বাড়িতে ২০ বছরের বাক-প্রতিবন্ধি মেয়ে রেখে তার মা দুইবছর আগে বিদেশে যান। গত ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ও লালইচ গ্রামের জেকের আলীর ছেলে ৮ম শ্রেণির ছাত্র লিটন মাহমুদ (১৪) লালইচ বহুমুখী আলিম মাদ্রাসার পরিত্যক্ত শ্রেণি কক্ষে নিয়ে গিয়ে বিকেল আড়াইটার সময় ধর্ষণ করা অবস্থায় ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। তারপর গত ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট মামলার আরেক আসামি লালইচ গ্রামের আবুল হোসাইন মন্ডলের ছেলে বুলবুল আহম্মেদ (১৭) ধর্ষক লিটন মাহমুদের মোবাইল ফোন থেকে ধর্ষণের ধারণ করা ভিডিও নিয়ে এলাকায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয়।

প্রতিবন্ধী নারীর মা গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর বিদেশ থেকে বাড়ি আসার পর বিষয়টি শুনতে পান। বিষয়টি তেমন ভাবে প্রকাশ না হওয়া ধাপাচাপা পড়ে যায়। গত কয়েকদিন ধরে ধর্ষণের ভিডিও এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেলে আলোচনার ঝড় উঠে।

এতে প্রতিবন্ধী নারীর মা বাদী হয়ে মোহনপুর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মালালায় প্রেক্ষিতে মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ গত বুধবার রাতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লালইচ গ্রামে গিয়ে ধর্ষক লিটন মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে এবং ভিকটিমকে থানায় নিয়ে আসেন। ধর্ষণকারি লিটনের তথ্যানুরে ভিডিও প্রেরণ কারী বুলবুল আহম্মেদকে রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, আসামিদের বয়স কম হওয়ায় তাকে যশোহর শিশুশ্রম আদালতে প্রেরণ করা হবে।

স/অ