মোহনপুরে নবজাতককে হত্যা করল মা

মোহনপুর প্রতিনিধি:
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দটি হচ্ছে ‘মা’। এর চেয়ে অতি আপন শব্দটি দ্বিতীয়টি নেই। জগৎ সংসারের শত দুঃখ-কষ্টের মাঝে যে মানুষটির একটু সান্তনা আর স্নেহ-ভালবাসা আমাদের সমস্ত বেদনা দূর করে দেয় সেই মানুষটি হলো ‘মা’। দুঃখ-কষ্টে, সংকটে-উখানে যে মানুষটি স্নেহের পরশ বিছিয়ে দেয় তিনি হচ্ছেন “মা’ কিন্তু রাজশাহী মোহনপুর উপজেলা এর ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ১ মাস ৪ দিনের ঘুমন্ত নবজাত শিশুকে হত্যা করেছে মা মেঘনা।

এ বিষয়ে নবজাতক শিশুর দাদা তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল ছেলে মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে মোহনপুর থানায় নবজাতকের মা মেঘনা বেগমকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, মোহনপুর উপজেলা মৌগাছি ইউনিয়নের টেমা স্কুলপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে মেঘনা বেগম (২২) এর সাথে পাশ্ববর্তী তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমানের সাথে ৩ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে হাফিজা খাতুন(২) নামের এক সন্তানের জননী হয়। গত ১ নভেম্বর দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য মেঘনা তার পিতার বাড়ী টেমাতে হামিদা খাদিজা খাতুন নামের কন্যান সন্তানের জন্ম হয়। গত ৩ ডিসেম্বর বাদী মফিজ উদ্দিন তার ছেলে হাবিবুর মেঘনার পিতার বাড়ীতে এসে স্ত্রী ও নবজাতকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া জন্য দিনক্ষণ ঠিক করেন এবং প্রথম সন্তান হাফিজা খাতুন নিয়ে চলে যান তাদের বাড়ীতে। দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে হওয়ার গত ৪ নভেম্বর ভোর আনুমানিক ৫ টার দিকে ঘুমন্ত নবজাতক শিশু কন্যা হামিদাকে তার মা মেঘনা পিতার বাড়ীর শয়ন কক্ষে দক্ষিনে টয়লেটের ভাঙ্গা প্যানের পানির মধ্যে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পর টয়লেট হতে শয়ন কক্ষে ফিরে এসে মেঘনা বেগম তাঁর মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছে না বলে ডাকচিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা খোজ করতে থাকে এবং বাড়ীর পাশের ভাঙ্গা টয়লেট পানির মধ্যে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। স্থানীয়রা নবজাত হামিদা খাদিজাকে টয়লেট উপরে তোলেন। খরব পেয়ে নবজাতকের দাদা মফিজ ও পিতা হাবিবুর এসে মোহনপুর থানা পুলিশকে খরব দিলে পুলিশ মা মেঘনা আটক করেন ও নবজাতকে লাশ উদ্ধার করে থানার আসেন।

এ বিষয়ে মোহনপুর অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) এসএম আবুল কাশেম আজাদ সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,নবজাতকের লাশ ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে (মর্গে) প্রেরণ ও আসামী মেঘনা বেগমকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

স/অ