মোস্তাফিজের চার উইকেট

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৬১ রানে বেঁধে ফেলে আট উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ।

সোমবার ডাবলিনে সিরিজের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাঝারি স্কোরে আটকে রাখল বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা উইন্ডিজ নয় উইকেটে ২৪৭ রানে থেমেছে। লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যে রাখতে সবচেয়ে বড় অবদান দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও মাশরাফি মুর্তজার।

আগের ম্যাচে ব্যয়বহুল বোলিংয়ের জন্য সমালোচিত হওয়া মোস্তাফিজ কাল দারুণভাবে ফিরে পেলেন নিজেকে। নয় ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট।

বিশ্বকাপের আগে মোস্তাফিজের স্বরূপে ফেরাই বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি। ৬০ রানে তিন উইকেট নেয়া মাশরাফির কৃতিত্বও কম নয়। টানা দুই ম্যাচে তিন উইকেট নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

আগের ম্যাচের মতো এ দিনও ভীষণ কৃপণ বোলিং করেছেন দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান (১/২৭) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (১/৪১)। সাইফউদ্দিনের চোটে ওয়ানডে অভিষেকের সুযোগ পাওয়া আবু জায়েদ অবশ্য নজর কাড়ার মতো কিছু করতে পারেননি। নয় ওভারে ৫৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

আগের ম্যাচে উইন্ডিজের শুরুটা দুর্দান্ত হলেও কাল তারা শুরু থেকেই ধুঁকেছে। সুনীল আমব্রিসকে ফিরিয়ে ৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মাশরাফি।

এরপর মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে ৯৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে উইন্ডিজ। পঞ্চম উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়ে সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন শাই হোপ ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (৬২)।

বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা চতুর্থ সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো হোপকে ৮৭ রানে ফিরিয়ে আবারও ইনিংসের মোড় ঘুরিয়ে দেন মাশরাফি। নিজের পরের ওভারে হোল্ডারকেও ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এরপর মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত সামলে আর বেশিদূর যেতে পারেনি উইন্ডিজ। হোপ ও হোল্ডারের ফিফটি ছাড়া উইন্ডিজের ইনিংসে বলার মতো রান পাননি আর কেউই।