মোবাইল ফোনের মালিকানা বৈষম্য সবচেয়ে কম বাংলাদেশে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নিজে মোবাইল ফোনের মালিক এমন মানুষের সংখ্যায় শহর ও গ্রামে সবচেয়ে কম বৈষম্য বাংলাদেশে।

এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় আইসিটি পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লার্নএশিয়ার ‘আফটার অ্যাকসেস’ নামের এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে আসে।

এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ১৮টি এই ‘আফটার অ্যাকসেস’ সমীক্ষা চালিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এই সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরে তারা। এতে  বাংলাদেশে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার ও প্রাপ্যতা বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান জানানো হয়।

লার্নএশিয়া বলছে, ‘গবেষণায় বাংলাদেশের ৪০টি জেলার ১০০টি ওয়ার্ড এবং গ্রামে দুই হাজার পরিবার ও ব্যক্তির উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। গবেষণা পদ্ধতিটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যা ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী জনসংখ্যার ৯৫ ভাগ প্রতিনিধিত্বমূলক এবং এতে সম্ভাব্য ত্রুটির মাত্রা কমবেশি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

সংস্থাটির জরিপের তথ্যমতে,  বাংলাদেশে শহর ও গ্রামের মোবাইল ফোনের মালিকানার ব্যবধান মাত্র ৭ শতাংশ।  এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার যে দেশগুলোতে জরিপ চালানো হয়েছে তারমধ্যে সবচেয়ে কম।

এটিকে অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক হিসেবে দেখছে তারা।

সমীক্ষার ফলাফল বলছে, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বাস করা ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মানুষ শহরের একই বয়সের মানুষের চেয়ে ৪২ শতাংশ কম ইন্টারনেট ব্যবহার করে।  সমীক্ষা চালানো দেশগুলোর  মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে নারী-পুরুষের বৈষম্য সবচেয়ে বেশি। ১৫ থেকে ৬৫ বয়সের পুরুষদের তুলনায় একই বয়সের ৩৪ শতাংশ কম নারীর নিজন্ব মোবাইল ফোন আছে এবং ৬২ শতাংশ কম নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারের হারে দিক হতে বাংলাদেশ সবচেয়ে সেরা। ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মোবাইল ফোন মালিকদের ২৭ শতাংশই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিচ্ছে।

কানাডার ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (আইডিআরসি), ফোর্ড ফাউন্ডেশন, সুইডিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (এসআইডিএ) এবং যুক্তরাজ্য সরকারের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এর অনুদানে এই সমীক্ষা চালিয়েছে লার্নএশিয়া।