মোদীর রাজ্যে মুকেশ আম্বানির বিশাল বিনিয়োগ

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে ভারতের গুজরাট রাজ্যে আট হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে দেশটির ধনকুবের মুকেশ আম্বানির রিল্যায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) গুজরাট রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে কোম্পানিটি। ‘ভাইব্রেন্ট গুজরাট সামিট-২০২২’ এর অংশ হিসেবে এই বিনিয়োগ চুক্তি সই করা হয়। খবর এনডিটিভির।

রিল্যায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড জানিয়েছে, এই বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগের ফলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে রাজ্যটিতে।

কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, গুজরাটকে নেট-জিরো এবং কার্বন মুক্ত করতে ১০০ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সবুজ হাইড্রোজেন ইকো-সিস্টেম উন্নয়নের জন্য আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে পাঁচ লাখ কোটি ভারতীয় রুপি বিনিয়োগ করবে তারা।

রিল্যায়েন্স ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এসএমই) সহায়তা করতে একটি ইকো-সিস্টেম তৈরি করবে। এটি তাদের নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে এবং ব্যবহারে সহায়তা করবে। জানা গেছে, গুজরাটের ঢোলেরা, কুচ ও বানাসকাঁথায় জমি দেখা শুরু করেছে কোম্পানিটি।

jagonews24

এছাড়া সংস্থাটি সৌরকোষ, ইলেকট্রোলাইজার, ব্যাটারিসহ সংশ্লিষ্ট পণ্য উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে ৬০ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে। আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ২৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করা হবে এই প্রকল্পগুলোতে। এর পাশাপাশি জিও-র নেটওয়ার্কের আপগ্রেডেশনে সাড়ে সাত হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে তারা।

নবায়নযোগ্য শক্তি হলো এমন শক্তির উৎস যা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং এর ফলে শক্তির উৎসটি নিঃশেষ হয়ে যায় না। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস বিশেষ করে সূর্যের আলো ও তাপ, বায়ুপ্রবাহ, জলপ্রবাহ, জৈবশক্তি, ভূ-তাপ, সমুদ্র তরঙ্গ, সমুদ্র-তাপ, জোয়ার-ভাটা, শহুরে আবর্জনা, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থায় পৌঁছানোর জন্য পরিবেশবাদীরা নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে আহ্বান জানিয়েছে আসছেন। ফলে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করছে। নবায়নযোগ্য শক্তিসমূহ পরিবেশবান্ধব এবং কার্বন নিঃসরণ হয় না।

এশিয়ার শীর্ষ ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার। জানা গেছে, বিদেশে বিনিয়োগের পাশাপাশি এখন অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগেও আরও মনোযোগী আম্বানির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ