মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাইতে রাজশাহীতে এসে বিয়ের পিঁড়িতে রাউধার বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে এসেছিলেন মেয়ে রাউধার মৃত্যুর বিচার চাইতে। বিচার চেয়ে প্রশাসনের দরবারসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরেছেনেও তিনি। কিন্তু সেই তিনিই মেয়ে হত্যার বিচার ফেলে এবার বসলেন নিজেই বিয়ের পিঁড়িতে। বলছিলাম রাজশাহী ইসরামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রাউধা আতিফের বাবা মালদ্বীপের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আতিফের কথা। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তিনি বিয়ে করেন।

ডা. আতিফের স্ত্রী হলেন, রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পিল্লাপাড়া এলাকার বদিউজ্জামানের মেয়ে নাম কনকলতা (৩০)।

প্রসঙ্গত, ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামি ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে নগরের শাহ মখদুম থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। পরে রাউধার বাবা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুন:ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশটি উঠানোও হয়।

মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। রাউধা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পরের দিন রাজশাহীতে আসেন তার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ মা আমিনাথসহ পরিবারের ১১ সদস্য। পরে পরিবারের অন্য সদসর‌্যা চলে গেলেও মোহাম্মদ আতিফ থেকে যান রাজশাহীতে।

কয়েকটি গোয়ন্দা সংস্থার সদস্যরা জানান, অনেকটা গোপনিয়তা নিয়ে ডা. আতিফ বিয়ে করেছেন। বিকেলে আদালতের বার ভবনে গোপনিয়তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করেন।

এসময় রাজশাহীর কয়েকজন সাংবাদিকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বিয়ের পর মোহাম্মদ আতিফ নগরীর লক্ষ্মিপুরে প্যারামেডিকেল কলেজের সামনে তার নবাগত স্ত্রী কনক লতার ভাড়া বাড়িতে গিয় উঠেন বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে। সেখানেই তিনি রাত কাটাবেন। ডা. আতিফের নব স্ত্রী কনকলতা তার বোন রত্নার সঙ্গে থাকেন।

তবে, বিয়ের সময় ঠিকানায় ক্রটির বিষয়টি ধরা পড়ে। সে কারণে ডা. আতিফকে রোববার আবার আদালতে আসতে হবে। বিয়েতে ডা. আতিফ মালদ্বীপের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে বুলুকিয়া মেজো/১, মালদ্বীপ। রাজশাহীর ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপভদ্রা এলাকায়।

এদিকে ডা. আতিফের নব স্ত্রী কনকলতা ও তার পরিবারের লোকজনদের কেউই বিয়ের বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
স/আর