মেসির মা বলছেন, আমরা বন্দী জীবন কাটাব না

সিল্কসিটি স্পোর্টস ডেস্ক :

আর্জেন্টিনার রোজারিওতে লিওনেল মেসির স্ত্রী অ্যান্তোলা রোকুজ্জোর দোকানে গুলি চালানোর পর হুমকিও দিয়েছে হামলাকারীরা। যেখানে ‘মেসির জন্য তারা অপেক্ষায় থাকবেন’ লেখা একটি চিরকুট রেখে যান। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই মেসি ও তার পরিবারের জীবন-যাপনে বেশ প্রভাব পড়ার কথা। তবে এই পরিস্থিতিতেও অন্য সাধারণ সময়ের মতোই চলাফেরার কথা জানিয়েছেন মেসির মা সেলিয়া মারিয়া কুকসিতিনি। নিজের শহরে হওয়া এমন ঘটনার পর মেসির পরিবারের কেউ এই প্রথম মুখ খুলেছেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম কাদেনা ৩ রোজারিওর প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সংবাদকর্মী মাইতে পেনোনারির সঙ্গে কথা বলেছেন মেসির মা সেলিয়া।

ওই ঘটনার পর মেসির পরিবারের পক্ষ থেকে কাউকে কথা বলতে দেখা যায়নি। এবার সেই প্রসঙ্গে মেসির মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তার বরাত দিয়ে সংবাদকর্মী পেনোরারি জানান, ‘আমার সঙ্গে মেসির মায়ের কথা হয়েছে। তিনি বলছেন যে, ওই সুপারমার্কেটটি ছিল রোকুজ্জোর পরিবারের। কিন্তু যাইহোক, আমরা তো আর বন্দী জীবন (কাস্টডি) কাটাতে পারি না। আমরা স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছি।’

এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ২টার (স্থানীয় সময়) রোজারিওতে রোকুজ্জোদের দোকানে এলোপাতাড়ি ১৪টি গুলি চালায় অজ্ঞাত দু’জন। সে সময় দোকানের দরজা বন্ধ থাকলেও সেটি ভেদ করে ভেতরের গ্লাসও ভেঙে যায়। পরে হামলাকারীরা ঘটনাস্থলে একটি চিঠি ফেলে যান। সেখানে তারা মেসিকে হুমকি দিয়ে লেখেন, ‘মেসি আমরা তোমার অপেক্ষায় আছি। জাভকিন একজন মাদক চোরাকারবারি। সেও তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।’

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে সেদিন মোটরসাইকেলে করে দুজন ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তাদের একজন নেমে নির্বিচারে (ব্লাইন্ড শট) গুলি ছুড়তে থাকেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় মেসির উদ্দেশে লেখা একটি চিরকুট।

জানা গেছে, ওই ঘটনাস্থলে মেসির শুশ্বর পরিবারের জায়গা রয়েছে। মেসির স্ত্রী অ্যান্তোলা রোকুজ্জোর চাচাতো ভাই সেই জায়গাটির তত্ত্বাবধান করেন। খেলোয়াড়ি জীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে ছুটি পেলে মাঝেমধ্যে রোজারিওর সেই বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকেন মেসি। বিশেষ করে বড়দিনের ছুটিটা মেসি সেখানেই কাটান। তবে সেখানে জাভকিন নামে যার কথা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে মেসির কি-রকম সম্পর্ক সেটি জানা যায়নি।

হামলার ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। এমনকি এরপর সেখানকার দোকানপাটও বন্ধ রাখা হয়। ঘটনাস্থলে তদন্ত চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।