মেসির জন্যই পদত্যাগ করতে চান স্কালোনি!

স্পোর্টস ডেস্ক :

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠে ওঠার পরপরই আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে বিষাদের ছায়া নেমেছিলো কিছুদিন আগে। কারণ, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি দেশটির কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন তখন। জানা গেছে, স্কালোনির কোচের পদ ছাড়ার নেপথ্যে রয়েছেন লিওনেল মেসি।

মূলত, আর্জেন্টিনার সুখের সংসারে এখন তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছে। এই বিরোধ মূলত দলের প্রথম দুই ব্যক্তি, দুই লিওনেল-এর মধ্যে। এমনটাই জানিয়েছে ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ নামে একটি সংবাদমাধ্যম।

এক বছর আগেও আর্জেন্টিনা দলে সুখের সংসার। মাত্র এক বছরেই বদলে গেলো সবকিছু! ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে কোচ এবং অধিনায়কের মধ্যে।

বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচ ঘিরে রণক্ষেত্র তৈরি হয়েছিলো রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়াম। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি হয়। যে কারণে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। সামাল দিতে বাধ্য হয়ে লাঠি চার্জ করতে হয় পুলিশকে। নিজ দেশের সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়ে মাঠ ছেড়ে দল নিয়ে বেরিয়ে যান লিওনেল মেসি। ৩০ মিনিট বিলম্বে খেলা শুরু হয়।

স্কালোনি এবং মেসির মধ্যে বিবাদের এটাই মূল কারণ বলে জানিয়েছে সেই সংবাদ মাধ্যমটি। তাদের খবর অনুযায়ী, কোচ স্কালোনিকে জিজ্ঞাসা না করেই দল নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মেসি। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কোচ স্কালোনি। ব্রাজিলকে হারানোর পর স্কালোনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার এবার একটু বিশ্রাম করার সময় হয়েছে। গত কয়েক বছরে অনেক পরিশ্রম করেছি। আর এনার্জি পাচ্ছি না। আর্জেন্টিনার উচিত এমন একজন কোচ নিয়ে আসা যে এনার্জিতে পূর্ণ।’

বিশ্বকাপের পরে স্কালোনির চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন; কিন্তু তিনি ততদিন থাকবেন কি না তা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আর্জেন্টিনার একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘স্কালোনির মনে হচ্ছে, দলে তার ক্ষমতা কমেছে। তাই সরে যেতে চাইছেন তিনি। ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকার পরেই সরে যেতে পারেন ৩৬ বছর পরে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ।’

তবে ভিন্ন একটি ঘটনাও শোনা যাচ্ছে। স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ নাকি কথা বলছে স্কালোনির সঙ্গে। কার্লো আনচেলত্তিকে সরিয়ে স্কালোনিকে কোচ করতে পারে তারা। অন্যদিকে আনচেলত্তি হতে পারেন ব্রাজিলের কোচ। তবে এখনও সে সব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

স্কালোনি বা মেসি অবশ্য এসব বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি। যদিও স্কালোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে।