মেসিও পারল না পিএসজির ব্যর্থতা ঘুচাতে

একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের অপেক্ষা যেন ফুরাচ্ছেই না ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজির। ডেভিড বেকহাম, ইব্রাহিমোভিচের পর নেইমার-এমবাপ্পেরা পারেনি ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এনে দিতে। পিএসজির এই পথ চলায় নতুন সংযুক্তি লিওনেল মেসি। চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা থেকে  আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরকে দলে ভিড়িয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছিল দলটি কিন্তু সেই স্বপ্ন ‘দুঃস্বপ্নতেই’ আটকে রইল।

চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট ম্যাচ মানেই যেন পিএসজির হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হওয়া। ২০১৬-১৭ মৌসুমে বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রথম লেগে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকেও ফিরতি লেগে কাতালান ক্লাবটির মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তনে আশাহত হয়েছিল পিএসজি। পরের বছরে নেইমার-এমবাপ্পেদের নিয়ে গড়া দল নিয়েও শেষ ষোলোতে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল পিএসজিকে।

২০১৮-১৯ মৌসুমেও ব্যর্থতা কাটাতে পারেনি তাঁরা। ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতলেও ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে খেই হারায় পিএসজি। আবারও খালি হাতে ফিরতে হয় প্যারিসের ক্লাবটিকে। ২০১৯-২০ মৌসুমটা স্বপ্নের মত পার করে নেইমার-এমবাপ্পেরা। প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে ছিল তাঁরা। কিন্তু ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরে অপেক্ষাটা আরও বেড়ে যায়। গত মৌসুমেও ম্যানচেস্টার সিটির কাছে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নেয় পিএসজি।

আর এবারের মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষের ম্যাচের ঘটনা তো দৃশ্যমান। দুই লেগে অধিকাংশ সময়ই দাপট দেখিয়ে হারের তিক্ত স্বাদ পেল মেসিরা। রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে প্রথমার্ধ দারুণ খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ হারিয়ে ফেলে পিএসজি। করিম বেনজিমার ১৭ মিনিটের ঝড়ে আরও একবার ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেল প্যারিসের দলটি। লিওনেল মেসি দলে যোগ দেওয়ায় স্বপ্নের পরিধি আরও বেড়ে গেলেও সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসিও পারলেন না পিএসজিকে ব্যর্থতা ঘুচাতে। গ্রুপ পর্বে পাঁচ গোল করলেও দলের প্রয়োজনে নিষ্প্রভ থাকলেন আর্জেন্টাইন এই তারকা।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ